অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্থান পাওয়া কে এই সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান?

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৬ জন উপদেষ্টার তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সুপরিচিত পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০১৪ সালে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিকি অপহৃত হয়েছিল। এ ঘটনা বেশ আলোচনার জন্ম দিলে চাঞ্চল্যকর এই অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা পর আবার তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বর্তমানে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী। এছাড়া তিনি ফেডারেশন অফ এনজিওস ইন বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি, এনজিও এরডিআরএস-এর সভাপতি। "নিজেরা করি" সংগঠন ও এসোসিয়েশন অফ ল্যান্ড রিফর্মস এন্ড ডেভলপমেন্ট-এর একজন সদস্য। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে ফ্রেন্ডস অফ আর্থ ইন্টারন্যাশনাল-এর নির্বাহী সদস্য, এনভায়রনমেন্টাল ল' এলায়েন্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং এনভায়রনমেন্টাল ল' কমিশন অফ দ্যা আইইউসিএন-এর সদস্য।
পরিবেশ অঙ্গণে সাহসি ভূমিকার জন্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে 'পরিবেশের নোবেল' খ্যাত "গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ", বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকীর "হিরোজ অফ এনভায়রনমেন্ট" খেতাব, ২০১২ সালে এশিয়ার নোবেল পুরস্কার হিসেবে খ্যাত ফিলিপাইনভিত্তিক রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার ও ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৮ সালে নেপালভিত্তিক ক্রিয়েটিভ স্টেটমেন্টস এ্যান্ড সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ প্রদত্ত "সিলেব্রেটিং ওমেনহুড এওয়ার্ড"প্রাপ্ত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাঁচজন নারীর একজন। তার পরিচালিত সংগঠন বেলাও ২০০৩ সালে জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম ঘোষিত গ্লোবাল ৫০০ রোল অফ অনার্স পুরস্কারে অর্জন করেছিল।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের পৈত্রিক নিবাস হবিগঞ্জে। তবে তিনি ১৯৬৮ সালের ১৫ জানুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সৈয়দ মহিবুল হাসান ও সুরাইয়া হাসান দম্পতির একমাত্র কন্যা ও ছোট সন্তান। তিনি বর্তমানে তিন সন্তানের জননী। রিজওয়ানা হাসান ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রথমে লোকপ্রশাসন বিভাগে ভর্তি হলেও আইনের প্রতি আগ্রহ থেকে পরে বিভাগ পরিবর্তন করে আইন বিভাগে ভর্তি হন। এবং সেখান থেকে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে এলএলএম সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশের বাইরে বেশ কয়েকটি ফেলোশিপ কোর্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। ২০০৭ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আইজেনহাওয়ার ফেলোশিপও করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বিভি/কেএস/এজেড
মন্তব্য করুন: