রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ

চটজলদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে এমনটা আশা করেন না সাবেক কূটনীতিক ও প্রত্যাবাসন বিশেষজ্ঞরা। তবে, এ কাজ ত্বরান্বিত করতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ তাদের। কূটনীতির পাশাপাশি আরাকান আর্মির মতো সংগঠনের সাথে অনানুষ্ঠানিক কূটনীতি চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এলাকা পরিদর্শন তাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুটিকে নতুন করে সামনে আনে। একই সাথে আশার প্রদীপ জ্বলে ওঠে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টিভ ড. খলিলুর রহমানের বিশেষ বৈঠকের ফলে। যেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে মিয়ানমার।
তবে, বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা সে দেশের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির দখলে থাকায় প্রত্যাবাসন ইস্যুটি বড় ধরনের জটিলতার কবলে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকার চাইলেও আরাকান আর্মির সম্মতি ছাড়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন মোটেই সম্ভব নয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন আয়োজনের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। এ জন্য অবশ্যই সৃজনশীল কূটনৈতিক পদক্ষেপের পরামর্শ সাবেক কূটনীতিকদের।
উল্লেখ্য, সরকারি পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ দেখানো হলেও বাস্তবে তা প্রায় ১৫ লাখের বেশি বলে মনে করেন প্রত্যাবাসন বিশেষজ্ঞরা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নতুন নতুন রোহিঙ্গা যোগ হচ্ছে এ তালিকায়।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: