জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবরের পাশে দাফন করা হলো লামিয়াকে

ছবি: সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবরের পাশে দাফন করা হলো লামিয়াকে। বাবা জসিম উদ্দিন জুলাইয়ের গণ-অভ্যূত্থানে ঢাকায় শহীদ হন।পটুয়াখালীতে বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় লামিয়া। এঘটনায় ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। বিচারের দাবিতে সরব বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পটুয়াখালী পাঙ্গাসিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয় লামিয়ার। জানাজায় অংশ নেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ স্থানীয় প্রশাসন এবং এলাকাবাসী। পরে নিজ বাড়ির উঠানে বাবার কবরের পাশে লামিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজা শেষে অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিচার বিলম্ব হলে জাতি সংকটে পড়ে।
এদিকে, অপরাধীদের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া। নয় মাস পর তার কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন লামিয়া। ধর্ষণের শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন সতেরো বছরের শিক্ষার্থী লামিয়া। চিকিৎসার জন্য তাকে আনা হয় ঢাকায়। কিন্তু মানসিক চাপ, হতাশা থেকে শনিবার রাতে আত্মহত্যা করেন।
রবিবার সকালে লামিয়ার মরদেহ আনা হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে। স্বজনদের অভিযোগ, মামলা হলেও আসামিদের ধরতে গড়িমসি করে পুলিশ।
লামিয়ার ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। গোটা পরিস্থিতিতে তারা ক্ষোভ ঝাড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর।
বিভি এ/আই
মন্তব্য করুন: