ইভিএম নিয়ে নতুন ইসিও বিপাকে

ছবি: সংগৃহীত।
মাঠপর্যায়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যেসব প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণের এই আধুনিক যন্ত্র রাখা হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেগুলো দ্রুত সরানোর জন্য তাগাদা দিচ্ছে। এই কারণে ইভিএম সংরক্ষণের জন্য বাড়ি/গোডাউন ভাড়া নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ইসির সিনিয়র সহকারি সচিব (সেবা-২) মোহাম্মদ মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি রবিবার (২০ মার্চ) প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসি সচিবালয়ের আওতাধীন ৬৪ জেলার নির্বাচন অফিসে ইভিএম সংরক্ষণ করার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস/সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস/জেলা নির্বাচন অফিস সংলগ্ন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ভাড়ার হারে তিন বছরের চুক্তিতে (নবায়নযোগ্য) বাড়ি/গোডাউন ভাড়ার জন্য বাড়ির মালিকদের থেকে সীলমোহরকৃত খামে দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে। পদপত্র বিজ্ঞপ্তি জারীর পর হতে আগ্রহী বাড়ির মালিকরা ৪ এপ্রিল তারিখের মধ্যে সাধারণ সেবা-২, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, নির্বাচন ভবন (লিফট-২, রুম-২২৪ এর সম্মখে রক্ষিত বাক্সে) আগারগাঁও, ঢাকায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীলগালাকৃত খামে দরপত্র জমা করবেন এবং প্রাপ্ত দরপত্র একইদিন বিকাল ৩টায় দরপত্র দাতাদের সামনে (যদি কেউ উপস্থিত থাকেন) গঠিত কমিটির মাধ্যমে খোলা/বাছাই করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত দরপত্র সিডিউল ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে নগদ ৫০০ টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে ইসি সচিবালয়ের সাধারণ সেবা-২ শাখা/অঞ্চলিক নির্বাচন অফিস/ সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস/ জেলা নির্বাচন অফিস হতে সংগ্রহ করা যাবে এবং বিস্তারিত নিয়মাবলী সিডিউলে উল্লেক করা হয়েছে।
এছাড়াও দরপত্র ইসির ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd তে এবং CPTU এর ওয়েবসাইটে www.cptu.gov.bd পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি এক সমন্বয় সভায় ইসির যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এই বিষয়ে জানান, ইভিএম সংরক্ষণ করার জন্য জায়গাসহ অবকাঠামো/ফ্ল্যাট/বাড়ি, ইভিএম ধারণ ক্ষমতা, ভাড়ার পরিমাণ ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাব একীভূত করে নির্বাচন কমিশনে নথি উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেই নথিতে কমিশনাররা কিছু অবজারভেশনসহ টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ দেন। বিদায়ী কমিশনের সময় স্বল্পতার জন্য পরবর্তীতে নথি উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
ওই সভায় ইভিএম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জানান, বর্তমানে মাঠপর্যায়ে প্রায় ৯৫ হাজার ইভিএম রয়েছে। যা সংরক্ষণের জন্য জায়গাসহ অবকাঠামো ভাবড়া করা একান্ত প্রয়োজন।
সভাটিতে একজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জানান যে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইভিএম সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ইভিএম ঠেত নেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছে।
পরে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, যথাযথভাবে ইভিএম সংরক্ষণের জন্য সুপরিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করতে হবে এবং সংরক্ষণের জন্য জায়গাসহ অবকাঠামো ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
জানা যায়, সব মিলিয়ে বর্তমানে ইসির সংরক্ষণে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে।
বিভি/এইচকে
মন্তব্য করুন: