‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমেছে’

১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে সাম্প্রতিক কালে একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহারি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এর কাছে বাংলাদেশের দুর্যোগে প্রাণহানির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি একথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল আসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে। প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন ইউএসএইডের এম ডি ক্যাথরিন স্টিভেন্স এবং রিজিওনাল রিফিউজি কোর্ডিনেটর ম্যাকেঞ্জি রোয়ে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যারই ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)'র নারী ক্ষমতায়ন উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে 'এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপন্সিভ সেবা’ ক্যাটাগরিতে ‘জাতিসংঘ জনসেবা পদক ২০২১’ এ ভূষিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু করেছিলেন যাঁরা আগাম সতর্কসংকেত প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের ৫০% নারী।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশজুড়ে আধুনিক আবহাওয়ার রাডার এবং পূর্বাভাস ব্যবস্থা রয়েছে। উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দুর্যোগে প্রাণহানির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সাম্প্রতিক কালে একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে ।
এই সময় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। একইসঙ্গে কোভিড১৯ মহামারিতে দেশের জনগণকে নগদ টাকা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টিরও প্রশংসা করেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সন্ধান, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টিও সাক্ষাৎকালে প্রশংসিত হয়। এই সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: