• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বাল্যবিয়েতে বোঝা কমে না, বরং বাড়ে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ২৭ মার্চ ২০২২

আপডেট: ১৬:৫৬, ২৭ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
বাল্যবিয়েতে বোঝা কমে না, বরং বাড়ে: শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বর্তমান সময়ে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের বোঝা ভাবার কিছু নেই। বরং মেয়েরা সবক্ষেত্রেই তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখছে। 

আজ রবিবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর সিরড্যাপ মিলনায়তন ‘অভিভাবকরাই পারে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর আয়োজন করে।

বাল্যবিয়ে রোধে অভিভাবকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো অভিভাবকই চান না যে তার মেয়ে নির্যাতনের শিকার হোক। এই জায়গাটাতেই অভিভাবকদের সচেতন করতে পারলে বাল্যবিয়ে রোধে সফলতা পাওয়া যাবে। কেবলমাত্র আইন দিয়ে এই ধরনের সামাজিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন:

বাল্যবিয়ের মাধ্যমে একটা মেয়ের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি তার মানবাধিকারও লঙ্ঘন হয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সী সবাই শিশু। এই শিশুর ওপর যখন একটা সংসারের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়, তখন সেটি তার জন্যে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। কেননা শারীরিক এবং মানসিকভাবে সে তৈরি থাকে না। এর ওপর তাকে আবার অল্প বয়সেই সন্তান ধারণ করতে হয়। এর ফলে মায়ের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে এবং শিশু মৃত্যুর জন্যেও এটা দায়ী। বাল্য বিয়ের মাধ্যমে একটা মেয়ের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি তার মানবাধিকারও লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, বাল্য বিয়ে আইন বিরোধী। অভিভাবকরা কেউই আইন ভাঙতে চান না। বিভিন্ন সামাজিক চাপ কিংবা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অল্পবয়সী মেয়েকে বিয়ে দিয়ে সংসারের উপর চাপ কমাতে চান। কিন্তু এতে বোঝা কমে না, বরং বাড়ে। কেননা একটা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে অন্য সংসারে গিয়ে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না। একারণে সেখানে খাপ খাওয়াতে না পেরে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আবার দেখা যায়, শিশু অবস্থাতেই আরেকটি শিশু জন্ম দিয়ে তাকে আবার বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে হয়। সুতরাং বাল্যবিয়ে দিলে যে বোঝা কমবে তা নয়, বরং বাড়ে।

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার (জেন্ডার) তাহমিনা হক, সুইডেন দূতাবাসের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র উন্নয়ন কোঅপারেশন সেকশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার (জেন্ডার সমতা) রেহানা খান এবং বাংলাদেশে কানাডা হাইকমিশনের ডেভেলপমেন্ট এডভাইজার সিলিভিয়া ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অর্পিতা দাস।

বিভি/এএন

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2