দখল-দূষণ রোধে খালে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাবে ডিএনসিসি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খালের দখল ও দূষণ প্রতিরোধে বিশেষ তদারকি টিম গঠন করার পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুনরুদ্ধারকৃত লাউতলা খালের শুভ উদ্বোধন ও খাল দূষণ রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে তিনি একথা জানান।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা এই লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এই রামচন্দ্রপুর-লাউতলা খালের উপর অবৈধ ভাবে ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে ওঠেছিল। ১৪ বছর ধরে থাকা সেই অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে আমরা খালটিকে উদ্ধার করেছি। 

খালে প্রবাহমান পানি দেখে স্বস্তি প্রকাশ করে মেয়র বলেন, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আমরা খালটি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করি। আজ (৩১ মার্চ) খালে পানির প্রবাহ দেখতে পাচ্ছি। এই খালে কোন ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না। খাল পরিষ্কার রাখা ও তদারকির জন্য বিশেষ টিম গঠন করে দেয়া হবে এবং সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। খাল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

‘প্রায় ১ বছর আড়াই মাস আগে আমরা ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৯ টি খাল বুঝে পাই। পাওয়ার পর থেকেই দেখছি দুই "দ"-'দখল' আর 'দূষণ' এর কবলে খালগুলো সব মৃতপ্রায়। খালে স্বচ্ছ পানি প্রবাহ দেখার অভিপ্রায় নিয়ে আমরা কাজ করছি নিরন্তর’-বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি মানুষ এই খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে। এই খালে পলিথিন, পুরোনো সোফা, কার্পেট, চটের বস্তাসহ বাসা-বাড়ির সকল ধরনের ময়লা ফেলা হয়েছে। খালে ময়লা ফেলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। এই খাল দিয়ে নৌযান চলবে, মাছের চাষ হবে এবং জীববৈচিত্র রক্ষা পাবে। এর জন্য সরকার ও সিটি করপোরেশনের সাথে জনগণেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণকে সংঘবদ্ধভাবে খাল দখলদার ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।’

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে লাউতলা খালে ৪টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করে রামচন্দ্রপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে পৌছান। 

ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহা. আমিরুল ইসলাম ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।