এবার হজে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা

বৈশ্বিক  মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই বছর বাংলাদেশের হজে গমনেচ্ছুরা হজ করতে সৌদি আরবে যেতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে রাজকীয় সৌদি সরকার সহসাই ডিক্রি জারি করবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) আশকোনার বাংলাদেশ হজ অফিসের সভাকক্ষে পবিত্র হজ ১৪৪৩ হিজরি (২০২২ খ্রি.) সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংগঠনের অংশীজনের সমন্বয় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ হতে হজে গমণের সুযোগ তৈরি হলে সন্মানিত হজযাত্রীগণ যাতে সুষ্ঠু ভাবে হজ পালন করতে পারেন এ বিষয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে। পূর্বের যেকোনো হজের চেয়ে আগামী হজকে আরও উন্নত, নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ থেকে কত সংখ্যক হজযাত্রী হজে গমণ করতে পারবেন বিষয়টি সৌদি- বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তিতে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা হয়েছিল। এ বছর  বাংলাদেশের পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের  ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোপূর্বে যারা হজের নিবন্ধন করেছেন তারাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে গমণ করতে পারবেন। কোন ক্রমেই ক্রমধারা (সিরিয়াল) ভঙ্গ কর হবে না। হজের পুরো কার্যক্রম অটোমেশন করা হয়েছে।  

সভায় হজযাত্রীদের জন্য বিমানের পর্যাপ্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শিডিউল ঠিক রাখা, সহজে টিকেট প্রাপ্তি, হজ যাত্রীদের লাগেজ পরিবহন, পাসপোর্টপ্রাপ্তি সহজীকরণ, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সেবা, সৌদি আরব অংশে খাবার, আবাসন ও পরিবহনসহ  যাবতীয় সেবার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকেই সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং হজ  কার্যক্রমে  সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।