সমুদ্র গবেষণায় ৪৪৪ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প অনুমোদন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
সমুদ্র বিজয়ের মধ্যদিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রিক এলাকার মালিক হয়েছে বাংলাদেশ। এই সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ ছাড়াও আরও রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ। সমুদ্রতলের বালিতে আছে ইউরোনিয়াম, সি-উইডে আছে নানান উপকারী রাসায়নিক। এছাড়াও তেল-গ্যাসসহ সমুদ্রভর্তি সম্পদ থাকলেও পর্যাপ্ত গবেষণার অভাবে তা আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
দেশের সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বরাবরই বলে আসছেন, গভীর সমুদ্রে যাওয়ার পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকা, গবেষণা সামগ্রীর অপ্রতুলতাসহ বিভিন্ন উপাদানের সংকটের কারণে সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও আহরণের উদ্যোগ নিতে পারছেন না তারা। অবশেষে সংকট কাটাতে এবার ‘বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়)’ নামে ৪৪৪ কোটি টাকা বাজেটের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন:
- বুধবার ৩৪ সাংবাদিকের সঙ্গে সংলাপে বসতে চায় ইসি
- অনেকটাই সমাধানে গ্যাস সমস্যা, আর থাকবে না সংকটঃ মন্ত্রণালয়
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়) নামে এ প্রকল্পের আওতায় ৪২২টি গবেষণাগার সরঞ্জাম কেনা হবে। কেনা হবে একটি স্যাম্পল কালেক্টিং বোট বা জাহাজ। একটি ওশান অবজারভেশন সিস্টেম স্থাপন করা হবে, ৪ হাজার ৪২৪টি কম্পিউটার সফটওয়্যার, অফিস সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কেনা এবং ২০০ মিটার পন্টুনসহ জেটি ও গ্যাংওয়ে নির্মাণ করা হবে। পুরো টাকা সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে।
সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘দেশের সমুদ্র সম্পদ নিয়ে আরও গবেষণার জন্য এ ইনস্টিটিউটকে তৈরি করা হবে। এটা নিয়ে একনেকে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশাল সমুদ্রের তলদেশে আমাদের কী সম্পদ রয়েছে তা জানা যাবে।’
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: