কমছে বেগুনের দাম, মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত

ফাইল ছবি
রমজানে প্রতিবছরই কদর বাড়ে বেগুনের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বেগুনের আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ে সংসদে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনের দাম কেজিতে কমেছে অন্তত ১০ টাকা। একই সঙ্গে কমেছে লেবুর দামও। আকার ভেদে লেবুর দাম হালিতে কমেছে ৫-১০ টাকা।
রাজধানীর মহাখালী, কাওরানবাজার, কাঠালবাগান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৭৫-৮৫ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে।
অন্যদিকে মাঝারি সাইজের লেবু হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এতদিন একই আকারের লেবু হালি প্রতি ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হতো। একটু বড় আকারের লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬৫ টাকায়। গতকালও এ সাইজের লেবু বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকায়।
কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা মনির বলেন, বেগুনের দাম কমতে শুরু করেছে। রোজার শুরুতে বেগুনের চাহিদা অনেক বেশি ছিল, এর সুযোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। এখন বাজারে বেগুনের সরবরাহ বেশ ভালো, চাহিদাও আগের চেয়ে কমেছে। সে কারণে দামও কম।
রমজানের শুরু থেকেই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয় শসা। তবে আজ ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এতদিন বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
অন্যদিকে মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আকার ভেদে লাউ ৩০-৬০ টাকা,টমেটো ৩০-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কাঠালবাগান বাজারের ক্রেতা শাকিল বলেন, বাজার করতে আসলেই আমাদের হিমশিম খেতে হয়। সব কিছুরই দাম বেশি। আমি সাধারণত যেসব সবজির দাম খুব বেশি থাকে সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আজকে বেগুন ও শসার দাম তুলনামূলক কম। এটা ইতিবাচক দিক। তবে আরও কমা প্রয়োজন, যাতে সব শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ২৫ টাকা। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৩০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকা।
পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা। সজনে ডাটা ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে রুই মাছের কেজি ছিল ২৬০-৪৫০ টাকার মধ্যে। কিছুদিন আগে ১০০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৬০০ টাকায়। অন্যান্য মাছের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০-১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩১০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩১০-৩৪০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমও গত সপ্তাহের মতো ১১০-১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসের দামে পরিবর্তন আসেনি।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: