কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু

সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, শাল্লা ও হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শাল্লা থানার ওসি এবং হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের সলেমানপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জগন্নাথপুর থানার ওসি শশাঙ্ক পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মাহিমা আক্তার (৩৫) তার মেয়ে মৌসুমি বেগম (৪) এবং ছেলে মো. হোসেন (১)। এ সময় মহিমা আক্তারের স্বামী মোহাম্মদ হোসেন (৪০) আহত হন।
জগন্নাথপুর থানার ওসি শশাঙ্ক পাল বলেন, রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ ভেঙে ঘরে পড়ে। এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা দুই শিশুসহ তাদের মা চাপা পড়ে মারা যান।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৬), একই উপজেলার কাতারী মহল্লার আক্কল আলীর ছেলে শিক্ষার্থী হুসাইন মিয়া (১২) ও জাতুকর্নপাড়া মহল্লার আব্দুর রহমানের মেয়ে জুমা বেগম (১৩)।
বানিয়াচং থানার ওসি মো. এমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা ও ছেলে। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নাসিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, কৃষক মুকুল খা ও তার ছেলে মাসুদ খা।
শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে। খেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কৃষক মুকুল খা ও তার ছেলে মাসুদ খা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরও বলেন, খেতে থাকা মুকুলের আরেক ছেলে ও তার শ্যালকের ছেলে আহত হয়েছেন। তাদের হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: