‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ত্রুটিপূর্ণ, ব্যাখ্যা চাইবে সরকার’

সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে মৌলিক ত্রুটি রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে। রবিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ভুল তথ্য রয়েছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। প্রতিবেদনের অনেক বিষয়ই ধর্মীয় মূল্যবোধ, সমাজ-সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এ দেশ আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সুশাসন অনুসরণ করে এবং তাই এর অর্থনৈতিক অর্জনও উল্লেখযোগ্য। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় রয়েছে। তাই সরকার মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।
এদিকে পৃথক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেদনটি সমাজ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি ‘অরাজকতার সমাজ’ তৈরিতে উৎসাহিত করছে বলে মনে হচ্ছে। সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সরকার জনগণের কাছে করা নিজস্ব প্রতিশ্রুতির জন্য জনগণের মঙ্গল, অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন:
- বাঁধ ভেঙে হাওরে ঢুকছে পানি, ঝুঁকিতে ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল
- পিতৃপরিচয়হীন শিশুদের জন্মনিবন্ধন সমস্যা সমাধান দাবি
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ ২০২১ হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও শ্রম ব্যুরো প্রকাশ করে।
এ প্রতিবেদনের জন্য সংগৃহীত সব পর্যবেক্ষণ প্রধানত এনজিও/আইএনজিও রিপোর্টিং উৎস থেকে সংগৃহীত বলে নোট করেছে সরকার।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন করে শান্তি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতে র্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, র্যাব হলো শান্তির ব্র্যান্ড নেম, র্যাব ন্যায় বিচারের নাম। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে দেয়ার কোনো অপচেষ্টাই আমরা কিন্তু ভালোভাবে নিতে পারবো না।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, এ প্রতিবেদন সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে, বেড়েছে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি ৫০ শতাংশের উপরে বেড়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: