ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে গণমাধ্যমের অংশ হিসেবে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সোমবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সংলাপ শুরু হয়।
এই সংলাপে টেলিভিশন মিডিয়ার ৩৯ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত ২৪ জন সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
এই বিষয়ে ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, সকাল ১১টায় সভাটি শুরু হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
ইসির সংলাপে দাওয়াত পেয়েছেন যারা:
বাংলাভিশন টেলিভিশন-এর হেড অব নিউজ ড. আবদুল হাই সিদ্দিক; চ্যানেল আইয়ের শাইখ সিরাজ; এটিএন বাংলার জ. ই মামুন; এটিএন নিউজের মুন্নী সাহা; মাইটিভির নাজমুল হক সৈকত; নাগরিক টিভির দ্বীপ আজাদ; বৈশাখী টিভির অশোক চৌধুরী; মাছরাঙা টেলিভিশনের রেজানুল হক রাজা; এশিয়ান টেলিভিশনের মানস ঘোষ; এনটিভির বার্তা প্রধান জহিরুল আলম; বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ; ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু; ইউএনবি সম্পাদক মাহফুজুর রহমান; বিডিনিউজ২৪.কম-এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী; ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের চিফ নিউজ এডিটর আশিষ ঘোষ সৈকত; বাংলানিউজ২৪.কম সম্পাদক জুয়েল মাজহার; জাগোনিউজ২৪.কম-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে, এম, জিয়াউল হক প্রমুখ।
প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে গত ৬ এপ্রিল সংলাপে বসেছিল ইসি। গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেদিন ইসিকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে দলগুলোর আস্থা অর্জনের পরামর্শ দেন। এছাড়া নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের পরিবর্তে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ এবং বিভাগ ভিত্তিক একাধিক দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশও করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নিয়েই সংলাপে আয়োজন করে। এর আগে ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদ ও ২২ মার্চ বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।
সব মহলের সঙ্গে সংলাপ করার পর সবার শেষে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।
২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর দিন শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ভবনে গিয়ে দায়িত্বপালন শুরু করে নতুন কমিশন।
বিভি/এইচকে/কেএস
মন্তব্য করুন: