মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের মান নিয়ে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ছবি সংগৃহিত
বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার ( ২১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রশ্ন তুলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের মিডিয়া রিপোর্ট এবং কিছু এনজিও থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছেন উল্লেখ করে বাংলাদেশের মানবাধিকারের বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, এনজিওগুলো সব সময়ই সব জায়গায় নেতিবাচক জিনিস দেখে এবং অন্য একটি দল যারা শুধু বিদেশে আশ্রয় চায় এবং সুবিধা পাওয়ার জন্য দেশের নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরে। বাংলাদেশ সরকার মনে করে যে মানবাধিকার লঙ্ঘণের নামে অন্যান্য দেশের মূল্যবোধ যেমন-এলজিবিটি অধিকার, সমকামী বিবাহ ইত্যাদি চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা ‘দুঃখজনক এবং অযাচিত’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাম্প্রতিক ‘২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কিছু মতামত এসেছে তারা মানবাধিকারের নামে আমাদের ধর্মকে আঘাত করতে চায় এবং আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। মতামত মানবাধিকার নয় এবং বাংলাদেশের মানবাধিকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে খাদ্যের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, আশ্রয়ের অধিকার, সঠিক বাসস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবা। ‘এগুলো মানবাধিকার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটনে তাদের খুব ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে এবং দু’পক্ষই আগামী বছরগুলোতে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি ‘খুব শক্ত ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশন রয়েছে এবং এর গণতন্ত্র অত্যন্ত স্বচ্ছ।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এটি (নির্বাচন) বাংলাদেশে একটি উৎসব। আমরা নির্বাচনে সব দলকে চাই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘তারা আমার পুরো প্রতিনিধিদলকে অনেক সম্মান দিয়েছে।’
বিভি/এএইচ/এইচএস
মন্তব্য করুন: