টিকিটে কালোবাজারির কোনো সুযোগ নেই: রেলমন্ত্রী

ফাইল ছবি
কালকের টিকিটের জন্য যদি আজ কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে আমাদের কী করার আছে বললেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ৩টায় ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আজকের টিকিট নিয়ে তো কারও কোনো অভিযোগ নেই। কারণ আমরা তো সিস্টেম করেছি, অন্য কোনো সুযোগ নেই। আপনি এনআইডি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটবেন। আপনার টিকিট দিয়ে তো আমি যেতে পারবো না।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত এমন অভিযোগে রেলমন্ত্রী বলেন, কালোবাজারি কীভাবে করবে, আমি যদি আপনার টিকিটে না যেতে পারি, তাহলে টিকিট দিয়ে কী হবে। একজন চারজনের টিকেট নিলে চারজনেরই এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ড জমা দিতে হবে। কালোবাজারির কোনো সুযোগ নেই। কালোবাজারি করে টিকিট যে নেবে তার তো লাভ হতে হবে, কিন্তু এখানে তো সেই সুযোগই নেই।
তিনি বলেন, অনেকেই সহজ’র ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছেন। তারা সমস্ত টিকিট বিক্রি করেছে। এনআইডি কার্ড দিয়েই তারা বিক্রি করেছে। তারা অর্ধেক বিক্রি করছে আর আমরা অর্ধেক কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করছি।
মানুষের ভোগান্তির চিত্র পাল্টাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বলেন, মানুষের চাহিদার তুলনায় আমাদের ট্রেনের সংখ্যা কম। কারণ যেখানে প্রতিদিন ৫০ লাখ মানুষ যাতায়াত করবে। রাস্তার সক্ষমতা হলো মাত্র ১৫ লাখের। আমাদের রেলের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা টিকিট বিক্রি করছি। সবাই টিকিট পাবেন না। পাঁচ লাখ মানুষ যদি ট্রেনে যেতে চায়, সেখানে আমি দিতে পারি মাত্র ২০ হাজার টিকিট।
মন্ত্রী বলেন, টিকিট যার ভ্রমণ তার এটা আমরা নিশ্চিত করেছি। কাজেই কারও টিকিট অন্য কারও কাটার কোনো সুযোগ নেই। আমি অন্য কারো টিকিট কাটতে পারি, তবে যার নামে কাটছি তাকেই ভ্রমণ করতে হবে। কারণ টিকিটে পরিচয়পত্রের একটি নম্বর থাকবে।
ঈদযাত্রায় রেলের পরিকল্পনা কতোটুকু বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যেই পদক্ষেপ নিয়েছি, সেটা কতোটুকু বাস্তবায়ন করতে পারি সেটা ২৭ তারিখ থেকে জানা যাবে। কারণ তখন ঈদযাত্রা শুরু হবে।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: