কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ, সহায়তা পাবেন জেলেরা

কাপ্তাই হ্রদ
চলতি মাসের ১ মে থেকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে ২৪ হাজার ৯৫৩টি জেলে পরিবারের জন্য ৯৯৮ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। কর্মহীন হ্রদ তীরবর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলার জেলেদের জন্য সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবার মাসিক ২০ কেজি হারে মে-জুন দুই মাসের জন্য মোট ৪০ কেজি ভিজিএফের চাল প্রদান করা হবে।
গত ২৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৫ মে) গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভিজিএফের চাল ১০ জুন তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও জেলেদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কেবলমাত্র কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে এ চাল বিতরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
- কুসিকসহ স্থানীয় নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম বিতরণ ১১ মে
- ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়ায়
ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি উপজেলা হলো রাঙ্গামাটি জেলার সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দীঘিনালা।
উল্লেখ্য, কার্প ও অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এ বছর ইতোমধ্যে ১ মে থেকে তিন মাসের জন্য এ হ্রদের সকল প্রকার মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে কাপ্তাই হ্রদে নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: