সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের প্রভাব ঢাকায় পৌঁছাতে পারে: বিসিএসআইআর

বাংলাদেশ বিজ্ঞান শিল্প ও গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান (বিসিএসআইআর) ড. আফতাব আলী শেখ
সীতাকুণ্ডের সেই ডিপোতে শুধু হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড থাকলে এই বিস্ফোরণ হতো না। আমি নিশ্চিত সেখানে অন্য রাসায়নিক ছিল যার যথাযথ ব্যবস্থাপনা ছিল না। যার পরিনামস্বরূপ একাধিক রাসায়নিকের মিশ্রণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান শিল্প ও গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান (বিসিএসআইআর) ড. আফতাব আলী শেখ। দু-এক দিনের মধ্যে এই বিস্ফোরণের প্রভাব ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন এই রসায়নবিদ।
সোমবার (৬ জুন) বিকালে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদফতরের অডিটোরিয়ামে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করেছে পরিবেশ অধিদফতর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। আয়োজনের সহযোগী ছিল ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ, স্টামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ণ কেন্দ্র (ক্যাপস), পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সেভ আওয়ার সি, গ্রীন ভয়েস, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার, ক্লিন রিভার বাংলাদেশ, ঢাকা ইয়ুথ ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল, ইকো সোসাইটি, গ্লোবাল 'ল' থিংকারস সোসাইটি, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, নেচার কনজারভেশন মেনেজমেন্ট, ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক এন্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এবং প্রবাহ সমাজকল্যাণ ও পুনর্বাসন সমিতি।
সভায় সীতাকুণ্ডে নিহতের ঘটনাকে পরিবেশগত দুর্যোগ আখ্যা দিয়ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সেমিনারে ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, ‘রাসায়নিক দূষণ এমন এক বিষয় যা এক জায়গায় থেমে থাকে না। আমরা না দেখলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আমাদের ক্ষতি করে। সীতাকুণ্ডের দূষণও ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান শিল্প ও গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমনি বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ হতেন না। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো দূষণ করছে তার প্রভাব এখানে আসছে। এতে আমরা এশিয়ার দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এগুলো বুঝতে পারেন বলেই আন্তর্জাতিক মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে বলেন এবং কাজ করেন। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
এর আগে সেমিনারের মূল বক্তব্যে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ণ কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বাংলাদেশের বিভিন্ন দূষক ও এর দূষণের পরিমাণ তুলে ধরেন। বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ‘সেভ আওয়ার সি’-এর পরিচালক এস এম আতিকুর রহমান, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা) সোলায়মান হায়দার, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী ও বাপার সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ।
বিভি/কেএস
এনএ
মন্তব্য করুন: