দ্বাদশ সংসদ ভোট: প্রশাসনিক এলাকার সর্বশেষ তথ্য চায় ইসি, সব ডিসিকে চিঠি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের জন্য প্রশাসনিক এলাকার সর্বশেষ তথ্য চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য সকল জেলা প্রশাসক (ডিসি), সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ইসির উপসচিব মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত নির্দেশনা মঙ্গলবার (৭ জুন) সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়। জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের জন্য প্রশাসনিক এলাকার সৃজন, বিয়োজন ও সংকোচন সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার বিষয়ে ডিসিদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্কালে জাতীয় সংসদের ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে প্রকাশিত নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের গেজেটের পর যে সমস্ত প্রশাসনিক এলাকা সৃজন, বিয়োজন ও সংকোচন করা হয়েছে তার তথ্যাদি প্রয়োজন।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণের পর যে সব প্রশাসনিক এলাকা সৃজন, বিয়োজন ও সংকোচন হয়ে তার তথ্যাদি প্রামাণিক দলিলসহ জরুরী ভিত্তিতে ২০ জুলের মধ্যে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির উপসচিব মো. আব্দুল হালিম খান বাংলাভিশনকে বলেন, প্রত্যেক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের কাজ করা হয়। আসলে সীমানা নির্ধারণে যে আমাদের একটি কমিটি আছে মাননীয় নির্বাচন কমিশার মো. আলমগীর স্যারের নেতৃত্বে, সেই কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকেই আমরা প্রাথমিক একটা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।
তিনি বলেন, আমরা যখন ভবিষ্যতে সীমানা বিন্যাসের কাজ করবো। তখন এই তথ্য আমাদের কাজে লাগবে।
এরআগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ২৫টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করার কথা জানায় ইসি। পরিবর্তন আনা সংসদীয় আসনগুলো হচ্ছে- নীলফামারী- ৩ ও ৪, রংপুর- ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম- ৩ ও ৪. সিরাজগঞ্জ- ১ ও ২, খুলনা- ৩ ও ৪, জামালপুর- ৪ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ- ৪ ও ৫, সিলেট- ২ ও ৩, মৌলভীবাজার- ২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া- ৫ ও ৬, কুমিল্লা- ৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী- ৪ ও ৫।
বিভি/এইচকে
মন্তব্য করুন: