শিশুর জিনগত ত্রুটি গর্ভাবস্থায় নির্ণয় করা যাবে বাংলাদেশে

মায়ের গর্ভে কোনো শিশুর অস্বাভাবিক অবস্থা বা ত্রুটি থাকলে তা এখন বাংলাদেশে নির্ণয় করা যাবে। এজন্য উন্নত প্রযুক্তির একটি সফটওয়্যার চালু করেছে বাংলাদেশ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। খবর: বিবিসি।
সুইজারল্যান্ডের রোস ডায়াগনস্টিক নামে একটা প্রতিষ্ঠান শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘মায়ের গর্ভে ভ্রূণ থাকা অবস্থায় ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে এই পরীক্ষাটি করালে ভ্রূণের জিনগত ত্রুটি আছে কি-না তা জানা যাবে।’
বাংলাদেশ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস এন্ড গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেজাউল করিম কাজল বলেন, ‘অ্যানোমালি স্ক্যানের মাধ্যমে শিশুর গঠন ঠিক আছে কি-না বা তার হাত-পা ঠিক আছে কি-না, এসব দেখা যায়। কিন্তু ডিএনএ বা জিনগত সমস্যা ধরা যায় না। মস্তিষ্কে ত্রুটি বা বুদ্ধিবৃত্তিক ত্রুটির ব্যাপারটি ধরা যায় না। এটি জেনেটিক বা ডিএনএ ঘটিত ত্রুটি। এই ডিএনএ ঘটিত ত্রুটি কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাম করে ধরা যায় না।’
চিকিৎসকরা জানান, এতদিন এই পরীক্ষাটি করার জন্য মায়ের রক্তের নমুনা দেশের বাইরে পাঠানো হত। সেই রির্পোট আসতে সময় লাগতো ১৫-২১দিন। যেখানে তিন মাসের সময় সীমা পার হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতো। খরচ পড়তো ১৫-২০ হাজার টাকা।
এখন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করেই পরীক্ষা বাংলাদেশ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করানো যাবে।
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: