প্রত্যেকের অভিযোগ ভোট স্লো হচ্ছে: নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেছেন, প্রত্যেকের কাছ থেকে একটি অভিযোগ আসছে স্লো হচ্ছে, প্রত্যেকটা কেন্দ্রেই এটা হচ্ছে এবং স্লো হওয়ার কারণে তারা কষ্ট পাচ্ছেন।
বুধবার (১৫ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুইটা কারণে ভোটগ্রহণ স্লো হতে পারে- একটি হচ্ছে ইভিএমের সাথে আমাদের যথেষ্ট পরিচয় নাই, নতুন পরিচয় সেটি একটা। দ্বিতীয় হলো যে, ভোটের পূর্বে ভোটদানের বিষয়ে যে ক্যাম্পিংটা হয়, এটা পর্যাপ্ত ছিলো না। তার কারণে সাধারণ যে মানুষ আছেন, তারা এর সাথে আগে পরিচিত হতে পারেননি।
সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে বেড়িয়েছি। এ পর্যন্ত পাঁচটি সংস্থা ৪০টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তাতে এই পর্যন্ত ৩০ শতাংশের মতো ভোট কাস্ট হয়েছে। এটি যদি কন্টিনিউ করে তাহলে বৃদ্ধি পাবে এবং এটি ওয়েদারের উপর ডিপেন্ড করে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি উৎসুক এবং আনন্দময় পরিবেশ ছিল এবং যথেষ্ট গেদারিং ছিল। দুই ঘণ্টা, আড়াই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে শুধু ভোট দেওয়ার জন্য। এটি একটি ভালো দিক যে ভোটের প্রতি ভোটারদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্ট ছিল। তিনটি কেন্দ্রে আমরা সব প্রার্থীর এজেন্ট পাইনি। কয়েকজনের ছিল, কয়েক জনের ছিল না বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েছি কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের চোখে তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা পড়ে নাই। তেমন কোনো গণ্ডগোল আমরা দেখিনি। যাদেরকে অ্যারেস্ট করেছে, যেমন কেন্দ্রে সামনে বিশৃঙ্খলা করা এটা তো ঠিক না। হয়তো এ কারণেও হতে পারে। আমি জানি না কি কারণে তাদেরকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে।
আমরা চেষ্টা করেছি ভোটারদের সাথে কথা বলার জন্য, কোনো ভোটার আমাদেরকে বলেনি যে, তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে যোগ করেন তিনি।
বিভি/এইচকে
মন্তব্য করুন: