সব দলকে ইভিএম দেখাবে ইসি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারিগরি দিক যাচাইয়ের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও কারিগরি টিমকে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে দলগুলোকে এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ৭ জুন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নিবন্ধিত ৩৯টি দলকে ইভিএম যাচাইয়ের জন্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫ জনের প্রতিনিধি ও কারিগরি টিম পাঠানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তিন দিন এই কারিগরি মত বিনিময় হবে। প্রতিদিন ১৩টি করে দলকে রাখা হবে।
জানা গেছে, ১৯ জুন, ২১ জুন ও ২৬ জুন তিনদিন দলগুলোকে ইভিএম দেখানো হবে। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এনআইডি উইং, ইভিএম প্রকল্প পরিচালক, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ও ইসির আইটি টিমসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
এই সভায় ইভিএম-এর প্রদর্শনী, কারিগরি বিষয় উপস্থাপন, মতামত ও কারিগরি দিক যাচাইসহ দলের সার্বিক আগ্রহের বিষয়গুলো উঠে আসবে।
১৯ জুন যেসব দলকে ডেকেছে ইসি:
জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।
২১ জুন যেসব দলকে ডেকেছে ইসি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।
২৬ জুন যেসব দলকে ডেকেছে ইসি:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-বিএমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে যন্ত্রটি প্রদর্শন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কারিগরি বিষয়ে প্রশ্নোত্তর, মত বিনিময়ের জন্য এই ব্যবস্থা নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এর মধ্যে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও ইভিএম নিয়ে মত বিনিময় করেছে কমিশন।
এছাড়া অংশীজনের সঙ্গে ইসির চলমান সংলাপে ইভিএম নিয়ে পক্ষ বিপক্ষে মত এসেছে। কমিশনও বলছে, সবার মতামত পর্যালোচনা করেই ইভিএমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৫ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা ইভিএম নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা ৩০০ আসনে করবো, না-কি ১০০ আসনে করবো, না কি মোটেই করবো না- আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিবো।’
বিভি/এইচকে/এনএ
মন্তব্য করুন: