পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে দর্শনার্থীদের ঘিরে ‘রমরমা বাণিজ্য’

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লালিত স্বপ্ন পদ্মাসেতু সর্বসাধারণের জন্য রবিবার (২৬ জুন) সকালে খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে সেতু দিয়ে পার হচ্ছে যানবাহন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ এসেছেন সেতু দেখতে। এই সুযোগটি নিয়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
সেতু পার হতে দর্শনার্থীদের থেকে দরকষাকষি করে ভাড়া নিচ্ছেন। কারো থেকে ১৫০, ২০০, ২৫০ টাকা। একটি মোটরসাইকেল সেতু পার হতে টোল দিতে হয় ১০০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব ভাড়ার মোটরসাইকেলে দুইজন করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। অনেক যাত্রীরই নেই হেলমেট। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টোল প্লাজার সামনে হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ বাহরুল মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট এবং শৃঙ্খলা মেনে পার হতে বলছেন।
একাধিক মোটরসাইকেল চালক জানান, সেতু হওয়ায় তাদের নতুন আয়ের পথ বের হয়েছে। টোলের খরচ বাদে ১০ মিনিটের একেকটি ট্রিপে লাভ থাকছে তিনশ টাকা।
এদিকে ১১ আসনের একটি মাইক্রোবাসে নেওয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ জন যাত্রী। একেকজনের ভাড়া দুইশ টাকা। ১৩শ টাকা টোল দিয়ে একেক ট্রিপে লাভ থাকছে প্রায় দুই হাজার টাকা।
মাওয়া পর্যন্ত রুট পারমিট আছে, এমন যাত্রীবাহী বাসও আজ যাত্রী নিয়ে ছুটছে ভাঙ্গায়। সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া হওয়ার কথা একশ টাকা। কিন্তু দুইশ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে বাসে
বিভি/এনএম/ এজেড
মন্তব্য করুন: