ট্রেনের অগ্রিম টিকেট: প্রাপ্তির আনন্দের চেয়ে হতাশাই বেশি

যেতে হবে বাড়ি, কষ্ট যতোই হোক পেতে হবে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। সকাল থেকেই স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষা ৮ জুলাইর টিকেটের জন্য। কমলাপুর স্টেশনে গরম-ভোগান্তি সয়েও তা না পাওয়ায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকে। নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে স্টেশন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন সাড়ে ১৫ হাজারেরও বেশি টিকেটের বিপরীতে লাইনে দাঁড়াচ্ছে চার-পাঁচ গুণ বেশি মানুষ। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
রাত শেষে ভোর। ভোর পেরিয়ে দিন। তবুও রেল স্টেশনগুলোতে টিকেট প্রত্যাশিদের অপেক্ষার শেষ হয় না। প্রতিবছর দুই ঈদের সময় অগ্রিম টিকেটের জন্য এমন হাহাকার।
কেউ আগেরদিন সন্ধ্যায়, আবার কেউ রাত কিংবা ভোরে হাজির হয়েছেন কাউন্টারের সামনে। বিশৃংখলা এড়াতে নিজেরাই আয়োজন করেছেন টোকেনের। সকাল ৮টায় থেকে টিকেট দেয়া শুরু হলেও অপেক্ষার শেষ হয় না। সোনার হরিণ হয়ে ওঠা টিকেট শেষ পর্যন্ত মিলবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা।
গরমে অনেকের পাখা কিনে কিছুটা আরামের চেষ্টা। অনেকে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়েছেন মাটিতেই। কেউ আবার বাসা থেকে পাটি কিংবা টুল নিয়ে এসেছেন একটু আরামের আশায়।
শত দুর্ভোগ সহ্য করেও যারা টিকেট পেয়েছেন, তাদের চোখেমুখে যেন বিজয়ের হাসি। এখন তাদের অপেক্ষা শুধু র্নিধারিত দিনে ট্রেনে চড়ে বসার।
রাজধানীর কমলাপুরসহ ৬টি কাউন্টার থেকে যাত্রীদের হাতে প্রতিদিন তুলে দেয়া হচ্ছে ১৫ হাজার ৭২৬টি টিকেট। তবে অনেকে টিকেট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার শঙ্কা স্টেশন ম্যানেজারেরও।
অগ্রিম টিকেট দেয়ার শেষদিন ৫ জুলাই দেয়া হবে ৯ জুলাইয়ের টিকেট। টিকেট পাওয়া যাবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: