চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের অবরোধ, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষের ফলে সোমবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ করছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। শাটল ট্রেনও বন্ধ রয়েছে। ট্রেনের চালককে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়ার কথা জানা যায়।
রবিবার (৩১ জুলাই) রাতে চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরই পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। রাতেই শুরু হয় ভাঙচুর, মারধর ও অবরোধ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাখা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মোহাম্মদ ইলিয়াসের বহিষ্কার দাবি করছেন। একই সঙ্গে তাঁরা নতুন শাখা কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছেন। কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রদের ৫টি আবাসিক হলের অন্তত ৪০টি কক্ষ ভাঙচুর করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।
মূলত, এসব দাবিতেই চবির মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের একাংশের নেতা-কর্মীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত ক্যাম্পাসঅবরোধ অব্যাহত রাখবেন বলে তারা ঘোষণা দিয়েছেন।
শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু বকর চৌধুরী জানান, ইলিয়াসকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন না—এমন অনেকেই পদ পেয়েছেন। তাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় ক্যাম্পাস অবরোধ চলবে।
চবির সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, ‘ছাত্রলীগের পদ না পাওয়া নেতারা রাত থেকে ক্যাম্পাস অবরোধ করেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দুটি পক্ষে বিভক্ত৷ এক পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও আরেকটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসাবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এই দুটি পক্ষের আবার ১১টি উপপক্ষ আছে।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: