যখন আঘাত হানবে সিত্রাং!

সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকেই। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়া বইছে, হচ্ছে প্রচুর বৃষ্টি। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার পাশ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল এই ১৩ জেলায় ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে আছে বরগুনা এবং পটুয়াখালী।
এদিকে ঘূর্ণিঝরের ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষকে সতর্ক এবং নিরাপদ রাখতে বরগুনাসহ উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করছে সিপিপি সদস্যরা। সতর্কতা জানানোর জন্য ফ্ল্যাগ তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে যেসব দোয়া মহানবী (সা.) বেশি পড়তেন
এ জেলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে দেখা গেছে।
সার্বিক পরিস্থিতিতে সকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র, মেডিক্যাল টিম, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তাল সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। পানিতে গোসল নিষিদ্ধ করে পর্যটকদের বিপৎসংকেত দেখিয়ে লাল পতাকা ওড়ানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ এখন বাংলাদেশের উপকূল থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে। আর কেন্দ্রস্থল আছে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে।
মন্তব্য করুন: