উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ। মঙ্গলবার ভোর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে।
বাংলাভিশনকে এই তথ্য জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক দুর্যোগ গবেষক ড. বিশ্বজিৎ নাথ বলেন, বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলের মাঝামাঝি ভোলার কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টির চোখ উপকূলে প্রবেশ করে।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়া বইছে, হচ্ছে প্রচুর বৃষ্টি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল এই ১৩ জেলায় ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে আছে বরগুনা এবং পটুয়াখালী।
এদিকে ঘূর্ণিঝরের ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষকে সতর্ক এবং নিরাপদ রাখতে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করছে সিপিপি সদস্যরা। সিত্রাংয়ের প্রভাবে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে দেখা গেছে।
সার্বিক পরিস্থিতিতে সকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র, মেডিক্যাল টিম, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তাল সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। পানিতে গোসল নিষিদ্ধ করে পর্যটকদের বিপৎসংকেত দেখিয়ে লাল পতাকা ওড়ানো হয়েছে।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: