• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মেঘালয়ে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প, কাঁপল সিলেট

৭ মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশ; দুর্যোগ মোকাবেলা বাস্তবিক প্রস্তুতি অদৃশ্য

প্রকাশিত: ০০:৫৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ০০:৫৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
৭ মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশ; দুর্যোগ মোকাবেলা বাস্তবিক প্রস্তুতি অদৃশ্য

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে মাঝারি মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালের দিকে আঘাত হানা এই ভূমিকম্প বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলাতেও অনুভূত হয়েছে।

ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দু বলছে, মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পার্বত্য অঞ্চলে সকাল ৯টা ২৬ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৯। তবে এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা তুরস্ক সিরিয়ার ভূমিকম্পের ঘটনার পরপর রোমানিয়াতেও ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। এর পর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে ভূ-কম্পন সৃষ্টিতে বিশ্লেষক মহলে দেখা দিয়েছে নানা আলোচনা। যদিও দেশে ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে। সাম্প্রতিককালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হলেও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চলে রয়েছে। অতীতে বড় ধরনের ভূমিকম্প বাংলাদেশ ও আশপাশে হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। বাংলাদেশের আশপাশে ভূমিকম্পের ইপি সেন্টার বা কেন্দ্র আছে। এই কারণে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। তবে এটা কবে হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।

বিভিন্ন গবেষণা তথ্যে দেখা যায়, শুধু ঢাকাতেই ৪০ হাজার ভবন রয়েছে যেগুলো আইন ও বিধি অনুযায়ী নির্মিত হয়নি। অথচ ওইসব ভবনেই লাখ লাখ মানুষ বসবাস করছেন। ঢাকায় বড় ভূমিকম্প হলে পুরো শহর অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হতে পারে। বড় ভূমিকম্প হলে গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণ ঘটবে ও বিদ্যুতের লাইন থেকে স্পার্ক হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ অবস্থায় ভূমিকম্পর ঝুঁকি থেকে বাঁচার উপায় কী? কী করণীয় তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

এ বিষয়ে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী হাসান আনসারী মনে করেন, সরকারের তরফ থেকে যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণের কথা বলা হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্প-পরবর্তী বিপর্যয় সামাল দেওয়ার ন্যূনতম প্রস্তুতিও যে আমাদের নেই, তা স্পষ্ট। ব্যাপক অভাব রয়েছে জনসচেতনতারও। কাগুজে আলোচনার বাইরে এসে দৃশ্যমান বড় ধরনের প্রস্তুতি জরুরি বলেও মনে করেন বুয়েটের এই বিশেষজ্ঞ।

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভূমিকম্পে উঁচুতলার বিল্ডিংগুলো আগে ভেঙে পড়বে, এ কথাও ঠিক নয়। বরং ভূমিকম্পে হাইরাউজ বিল্ডিং থেকে ছোট বিল্ডিংগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি। ৬ তলার নিচের বিল্ডিংগুলো বেশি অনিরাপদ। ভূমিকম্পে বিল্ডিং সাধারণত দুমড়েমুচড়ে গায়ে পড়ে না। হেলে পড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এ সময় নিজেকে রক্ষা করতে হবে। ভিম কিংবা কলামের পাশে শক্ত কোন কিছুর পাশে থাকতে হবে। বিশেষ করে খাট কিংবা শক্ত ডাইনিং টেবিল হলে ভালো হয়। আগে থেকেই আশ্রয়ের জায়গা ঠিক করে নিতে হবে। ঘরে রাখতে হবে সাবোল এবং হাতুড়ি জাতীয় কিছু দেশীয় যন্ত্র। ভূমিকম্প হলে অনেকেই তড়িঘরি করে নিচে ছোটেন। তারা জানেন না ভূমিকম্পে যত ক্ষতি হয় তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় অস্থির লোকদের ছোটাছুটিতে। ভূমিকম্প খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়। তাই সবাইকে সতর্ক করার এখনই সময় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2