মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা

রূপপুর পরমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র : ছবি সংগৃহীত
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের টানাপোড়েনে বেকায়দায় পড়েছে বাংলাদেশ। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা ‘রোসাটম’। এতে অনিশ্চয়তায় প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রকল্পে কোনো প্রভাব ফেলবে না, দাবি ঢাকা ও মস্কোর।
চলতি মাসের ১২ এপ্রিল রোসাটমের উপর দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রুপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের ঘোষণায় বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে মদদ দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল ঠিকাদার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রোসাটমকে।
এরফলে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি কি ভবিষ্যতে থামকে যাবে এমনটা নারাজ বাংলাদেশ ও রাশিয়া দুপক্ষই।
এক মেইলে রোসাটমের দাবি, প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হবার কোনো সুযোগ নেই। বরং রূপপুরের প্রথম ইউনিটের জ্বালানি ইউরেনিয়াম সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। আর খুদেবার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, যতই বাধা আসুক আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
ইতোমধ্যেই রূপপুরের অবকাঠামোগত প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার প্রথম ইউনিট চলতি বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: