কক্সবাজারে বনের জায়গায় প্রশিক্ষণ একাডেমির বিরোধিতা সংসদীয় কমিটির

কক্সবাজারে রক্ষিত বনভূমির জায়গায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের বিরোধিতা করছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই প্রকল্পের চূড়ান্ত ছাড়পত্র না দেওয়ার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে কমিটি।
রক্ষিত বনভূমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সুযোগ না থাকলেও গত জুনে জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের জন্য কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মৌজার ৭০০ একর রক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বন্দোবস্ত দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবরও প্রকাশিত হয়।
এদিন সংসদীয় কমিটি বলেছে, তারা প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের বিরোধী নয়, তবে সেটি রক্ষিত বনভূমির জায়গায় করা যাবে না।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় জানায়, বন্দোবস্ত দেওয়া জায়গা বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন বনায়নকৃত পাহাড়ি এলাকা। পাহাড়ের উচ্চতা স্থানভেদে ২০ থেকে ২০০ ফুট। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্পের আওতায় এখানে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে ১০০ একর সৃজিত বাগান রয়েছে। এলাকাটি হাতি, বন্য শূকর, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ও পাখির আবাসস্থল। ওই এলাকায় প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বৈঠকের পর সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জায়গাটি বন্দোবস্ত দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে কমিটি। মন্ত্রণালয়ও এই বিষয়ে একমত।
বিভি/এমএস
মন্তব্য করুন: