সুন্দরবন ইকোপার্ক থেকে কুমির, বানরসহ ১৪টি বন্যপ্রাণী জব্দ

বাগেরহাটের একটি বিনোদন কেন্দ্র থেকে লোনা পানির কুমির, বানর, বন বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ (ডব্লিউএমএনসিডি) খুলনা।
শনিবার(১২ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর এলাকার ‘সুন্দরবন রিসোর্ট এন্ড পিকনিক কর্নার’ থেকে প্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগ জানিয়েছে, পার্ক কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় প্রাণীগুলো হস্তান্তর করেছে। এজন্য তাদের কোন জরিমানা করা হয়নি। উদ্ধার হওয়া ৬ প্রজাতির ১৪টি বন্যপ্রাণীই সুন্দরবনে পাওয়া যায়। সবগুলো প্রাণী সুস্থ আছে। প্রাণীগুলো সুন্দরবনের করমজলে অবমুক্ত করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত প্রাণীগুলো হচ্ছে, ২টি লোনা পানির কুমির, ৬টি বানর, ২টি গুইসাপ, দুটি বন বিড়াল এবং একটি করে অজগর (পাইথন) ও মেছো বিড়াল।
এদিকে হরিণ, ময়ূর ও ইমুপাখি লালন পালনের জন্য ‘সুন্দরবন রিসোর্ট এন্ড পিকনিক কর্নার’ বন বিভাগের কাছে আবেদন করায় পার্কে থাকা ওই প্রাণীগুলো জব্দ করা হয়নি বলেও জানায় বন বিভাগ।
পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থান থেকে লোকজন তাদের এই প্রণীগুলো দিয়েছে। এর কয়েকটি তাঁরা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে এখানে এনে সুস্থ করেছেন।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়ের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, উদ্ধার হওয়া ১৪টি বন্যপ্রাণী অবৈধভাবে ওই পার্কে রাখা হচ্ছিল। পার্ক কর্তৃপক্ষ ভূল বুঝতে পেরে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের জন্য আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে আমরা প্রাণীগুলো উদ্ধার করেছি। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে প্রাণীগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়ের আওতাধীন এলাকায় যে সব অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানা রয়েছে এর সমগুলোতেই নিয়মিতভাবে এমন অভিযান পরিচালনা করা হবে। সুন্দরবন রিসোর্ট অ্যান্ড পিকনিক কর্নার প্রাণীগুলোকে স্বেচ্ছায় বন অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে ১৪টি বন্যপ্রাণী দেওয়া হয়েছে। এগুলো সুস্থ রয়েছে। প্রাণী গুলোকে আমরা বনে অবমুক্ত করেছি।
বিভি/এমএইচ/কেএস
মন্তব্য করুন: