শিল্পপতি জহুরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল

ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশবরেণ্য শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলামের ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেডের জহুরুল ইসলাম সিটি (আফতাবনগর) হাউজিং প্রজেক্টের সাইট অফিসে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ধীরাজ মালাকার, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আনিসুর রহমান, পরিচালক জনাব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক জনাব মো: রবিউল আউয়াল সহ জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সদস্যগণ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কোম্পানির অপারেটিভ ডিরেক্টর ও আফতাবনগর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ জনাব মেজর (অব:) আলতামাস করিম। স্থানীয় গুণগ্রাহী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেডের সকল স্তরের কর্মকর্তাগণ উক্ত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
মহান রাব্বুল আ্ল-আমিনের নিকট তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং বেহেশতের মর্যাদাপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত রাখার দোয়া কামনার মাধ্যমে সকলে মোনাজাত করেন।
ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেড তথা ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম ১৯২৮ সালের ১লা আগস্ট কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার অন্তর্গত ভাগলপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালের ১৯ শে অক্টোবর ৬৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। জনাব জহুরুল ইসলাম ঠিকাদারী ব্যবসার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বিডিসি নামক একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করেন।
খুব অল্প বয়সেই তিনি তাঁর দূরদর্শিতার মাধ্যমে ভবিষ্যত ঢাকা শহরের আবাসন সংকটের কথা চিন্তা করে ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম রিয়েল এস্টেট কোম্পানী হিসেবে ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন যার অধীনে বহুসংখ্যক বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশে তার নির্মানকৃত কাজের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কাজগুলো হলো বাংলাদেশ সংসদ ভবনের আঙিনা,বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন, হাইকোর্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবন, এমপি হোস্টেল, নগর ভবন ও বিভিন্ন মহাসড়ক। তার নির্মান কাজ সমূহ শুধুমাত্র দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, দেশের বাহিরে্র উল্লখযোগ্য কাজসমূহের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত,ইরাক ও ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরের আবাসিক ভবন ,সড়ক ও মহাসড়কও রয়েছে।
ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেড ছাড়াও আরও অনান্য বহুমাত্রিক কোম্পানি তথা জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ, আফতাব বহুমুখী পোট্রি ফিড এন্ড হ্যাচারি, নাবানা ফার্মাসিউটিক্যালস সহ অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত উদার এবং উন্নত মনের অধিকারী মানুষ ছিলেন, যার প্রতিফলন ঘটেছে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল এর মত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নির্মানের মাধ্যমে। ১৯৭৪ সালের খাদ্যাভাবের সময় নিজস্ব অর্থায়নে কিশোরগঞ্জে দুইশত লঙ্ঘরখানা খুলে ছিলেন যা ৬ মাসব্যপী অভুক্ত মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করেছিল ।
১৯ শে অক্টোবর ১৯৯৫ সালে তার মৃত্যুর পরে তাকে দাফন করা হয় তার নিজ গ্রাম ভাগলপুরে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১পুত্র ও ৪ কন্যা রেখে গেছেন। বর্তমানে তারই সুযোগ্য পুত্র জনাব মঞ্জুরুল ইসলাম অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্নধার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: