বিএনপির ভেতরে এরপর কি? (ভিডিও)
বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে। একটি ভালো জনভিত্তি থাকলেও, বিশাল এক জোট করেও সফলতা আনতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েও পারেনি। সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনের পর থেকেই আন্দোলনে ব্যর্থতা নিয়ে বিএনপিতে আলোচনা চলছে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতারা দোষ চাপান মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বের ওপর। অন্যদিকে, তৃণমূলের নেতাকর্মীর অধিকাংশই মনে করেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনার অভাবে আন্দোলনে বারবার হোঁচট খেয়েছে বিএনপি। তাই দলে গতিশীলতা আনতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতাবলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল মহানগর ও যুবদলসহ একসঙ্গে মোট নয়টি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
দল পুনর্গঠনের লক্ষে বিএনপিতে ৪৫টি পদে রদবদল আনা হয়েছে। এরমধ্যে অভিজ্ঞ মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, হারুন অর রশিদ, আসলাম চৌধুরী এবং রুহুল কুদ্দস দুলুকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। ক্যামেরার বাইরে নেতাকর্মীরা এটিকে ডাম্পিং পদ বলছেন। অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদকে যুগ্ম মহাসচিব, সায়েদুল আলম বাবুল, শাহীন শওকত খালেককে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলামকে সহ সাংগঠনিক সম্পাদক করায় দলের মধ্যে সমালোচনা চলছে। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে যুগ্ম মহাসচিব, জিকে গউসকে সাংগঠনিক সম্পাদক, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রচার সম্পাদক এবং ব্যারিস্টার মীর হেলালকে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য এবং সহ সাংগঠনিক সম্পাদক করায় নেতাকর্মীদের আস্থা তৈরি হয়েছে। তবে বেগম খালেদা জিয়ার করা ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্যদের সবার জায়গা হলেও বাদ পড়েছেন একমাত্র ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সদ্য ঘোষিত দুই কমিটিতে অনভিজ্ঞ নতুন অনেকের জায়গা হয়েছে।
জানাগেছে, খুব শিগগিরিই বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও কো-অপ্ট করার চিন্তা করা হচ্ছে। ১৯টি পদের মধ্যে ৫টি শুন্য রয়েছে। এই শূন্য পদে যোগ্য ও পরীক্ষিতদের স্থান দিতে চায় দলটি।
বিএনপির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দলের প্রয়োজনেই এই রদবদল করা হয়েছে। এই রেনুভেশন শেষ হলেই কাউন্সিলের দিকে যাবে বিএনপি।
বিভি/এনএম
মন্তব্য করুন: