গোপালগঞ্জের ৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জেল হাজতে

গোপালগঞ্জে গ্রেপ্তারকৃত পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিলন মুন্সীসহ ৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিলন মুন্সী, ছাত্রলীগ কর্মী সাব্বির মুন্সী, রানা মোল্লা ও কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় প্রথম ৩ জন ও সেনাবাহিনীর উপর হামলা এবংগাড়ি পোড়ানো মামলায় আজিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে এদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে এরা দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিল। পুলিশের নিয়মিত অভিযানে এদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার রাতে যার যার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১০ আগস্ট গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাস স্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ছয়টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ঢাকা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে। এতে সড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের মহাসড়ক ছেড়ে দিয়েবিক্ষোভ সমাবেশ করতে অনুরোধ করেন।পরে বিক্ষোভকারীরা সেনা সদস্যদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সেনা সদস্যদের উপর হামলা করে ও অস্ত্র নিয়ে নেয়। দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে একটিতে অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গত ২২ আগস্ট গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ৩ হাজার৩০৬ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী গাড়ি বহর নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া পৌছালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হামলা করে। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৫০ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ১০টি গাড়ি। গাড়িবহরে থাকা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশের খাদে ফেলে রাখা হয়। দিদার হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ১১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫০০ জনকে অজ্ঞাত অসমী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: