আশার কথা শোনালেন মির্জা ফখরুল

ছবি: বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ড. ইউনূস দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন, তার বিশ্বাস তিনি সফল হবেন। মির্জা ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারত নয়, জনগণই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম -এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ নেতৃত্ব-ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি -শাসনব্যবস্থা রূপান্তরমূলক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আসুন আজকে ঠিক একইভাবে সবাই এক হয়ে যাই। সমস্যা আছে, সমাধান হবে। ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন, বিশ্বাসও আছে তিনি সফল হবেন। আসুন সবাই মিলে তাকে সাহায্য করে নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি। তবে, একটা কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এটা চর্চা করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতির সমস্যা বরাবরই আছে। তারপরও প্রান্তিক জনগণের কথা যেদিন চিন্তা করবো সেদিন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে পারবো। সেখানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যতটা লুকিয়ে আছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৪ আন্দোলনে কয়েক হাজার তরুণের তাজা প্রাণ চলে গেছে। এ লড়াইয়ে সত্যিকার অর্থেই সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। সবাইকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করি, তার আগে আমাদের নেতা অনেকে ছিলেন। অত্যন্ত বড় বড় নেতা— মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের একেক জনের একেক চিন্তা ছিল। কারও চিন্তা ছিল সমাজতন্ত্র করবো, কেউ সমাজকে পাল্টে দেবো, কেউ ধর্মীয় ব্যবস্থাকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করবো... সব মিলিয়ে ছিল। তারপর যখন যুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধ) শুরু হয়েছিল, তখন সবাই এক হয়েছে লড়াই করার জন্য। আজ ২০২৪ সালেও একই ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এসেছি সবাই। কিন্তু যেদিন ছাত্রদের উপর গুলি করা হয়েছে, তখন সবাই এক হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজের মেয়ে সাবরিনা ইসলাম রহমান। আর সভায় সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়রাম্যানের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: