বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট টিকবে নাঃ মঞ্জু

দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি নেতৃত্বধীন জোটে অস্থিরতা চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দল বেরিয়ে গেছে। এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু মনে করেন, সরকারের চাপের কারণেই অনেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাভিশন ডিজিটালের সংগে একান্ত আলাপে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন, ২০ দলীয় জোট একটি নির্বাচনী জোট। এখন তো নির্বাচন নেই। আন্দোলনও করছে না। তাহলে এই জোট তো মূল্যহীন। না নির্বাচনী জোট, না আন্দোলনের জোট। এই জোট থাকা না থাকা সমান। যদি জোটের আন্দোলন, কর্মতৎপরতা এবং ভিশন না থাকে, তাহলে বিএনপি নেতৃত্বধীন এই জোট টিকবে না।
শরিক দল নেতাদের মূল্যয়ন না করার অভিযোগের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এই নেতা বলেন, স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেকটি জোটের প্রধান থাকে। ২০ দলীয় জোটের প্রধান বিএনপি। সুতরাং তাদের দায়িত্ব আছে। মূল্যায়নের কথা আসছে। কিসের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে? আন্দোলনে হলে কে ভূমিকা রাখছে, আর কে রাখছে না তার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন হবে। কিন্তু আন্দোলনই নেই, কর্মসূচিও নেই। বিএনপি জোটের যারা মূল্যয়ন চায়- তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা, দক্ষতা দেখাতে হবে বলে মন্তব্য করেন মঞ্জু।
জোট নিয়ে বিএনপি’র অনেক নেতার তুচ্ছতাচ্ছিল্যের বিষয়ে মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিএনপি তো এই দলগুলোকে নিয়েই জোট করেছে। আবার বিএনপিই তাদের ওয়ান ম্যান শো, ওয়ান ম্যান পার্টি বলে হাসাহাসি করে। এটা দুই পক্ষের জন্যই অপমানজনক। জোট যদি কার্যকর না করা যায়, তাহলে যুগপৎ আন্দোলন দিয়ে শুরু হতে পারে। পরে একটা জোট হতে পারে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি সব দলকে নিয়ে বিএনপি একটি জোট করতে পারে। অথবা জোট করারও দরকার নেই, সবাই একই পয়েন্টে আন্দোলন করলে সমস্যা নেই। ভোটাধিকারের দাবিতে একই দিনে ৪০টি সমাবেশ হলে সুবিধা। কারণ ৪০ জায়গায় প্রশাসনকে মনোনিবেশ করতে হবে। এখন দাবি হওয়া উচিত, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধানে একটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য। বিশেষ করে জাতিসংঘের অধীনে যদি একটি নির্বাচন হয়, তাতে যেই ক্ষমতায় আসুক সবাই মেনে নেবে। আওয়ামী লীগ নিজেদের ‘পপুলার’ দাবি করছে, তারা যদি ক্ষমতায় আসে সমস্যা নেই।
এবি পার্টি’র বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জু বলেন, ২০২৩ এর নির্বাচন কীভাবে হবে জানি না। অনেকে ভাবছেন আওয়ামী লীগ একদলীয়ভাবে নতুন টেকনিক এনে নির্বাচন করবে। এই নির্বাচনে কেউ অংশ নেবে না। হয়তো স্বার্থের জন্য কেউ কেউ অংশ নিতে পারে। আমরা ১০০ আসনের তালিকা করে প্রার্থীদের নিয়ে একটি গ্রাউন্ডওয়ার্ক করছি। নিরপেক্ষ নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন হলে আমরা সেখানে অংশগ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, মিনিমাম পয়েন্টে যুগপৎ আন্দোলন হওয়া উচিত। পয়েন্ট একটি আনা উচিত। বাংলাদেশে ভোটাধিকার নেই। গত পাঁচ বছরে যারা ভোটার হয়েছে, তারা ভোট দিতে পারেননি। অতএব ভোটের অধিকার ফিরে পেলে যারা ক্ষমতায় আসে সমস্যা নেই। জনগণের রায়ের প্রতিফলন না হলে বিপদ আছে।
বিভি/এনএম/এসডি
মন্তব্য করুন: