নৌকার মেয়র প্রার্থী কে এই আরফানুল হক রিফাত

প্রায় অর্ধডজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীকে পেছনে ফেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন আরফানুল হক রিফাত। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকে নৌকার প্রার্থী হিসাবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেন। আরফানুল হক রিফাত কুমিল্লা মহানগরবাসীর কাছে পরিচিত মুখ। একইসঙ্গে  তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

কুসিক নির্বাচনে মোট ১৪ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। প্রায় অর্ধডজন মনোনয়নপ্রত্যাশী মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের জন্য ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করেন। সরকারি দলের মনোনয়ন যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন সংক্রান্ত বোর্ডসভায় রিফাতের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। 

আরফানুল হক রিফাত ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি এবং স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। জিলা স্কুলে পড়াকালীন তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৮০ সালে তিনি শহর ছাত্রলীগের সভাপতির পদ লাভ করেন। ১৯৮১ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের প্যানেলে তিনি বহিঃক্রীড়া ও ব্যায়ামাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন। 

একই বছরে জামায়াত শিবির কর্তৃক আক্রমণের শিকার হন। ওই সময় তার দুই হাত এবং দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। ১৯৮৩-৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। এ সময় এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য পদ লাভ করেন। পরে তিনি কুমিল্লা জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন। 

এছাড়া গত ১২ বছর যাবত তিনি কুমিল্লা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। রিফাত কুমিল্লা ক্লাবের দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

নৌকার মনোনয়ন পাওয়া মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন, সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। জামায়াত-শিবির কর্তৃক অনেক জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশনায় দলের দুঃসময়ে সব কর্মসূচি পালন করেছি, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগের মূল্যায়ন করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সার্বিক নির্দেশনায় সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে দলকে বিজয় উপহার দিতে চাই।