১০ হাজারের জন্য দুই কোটি টাকার রিস্ক কে নিবে: বাস বন্ধ প্রসঙ্গে রাঙ্গা

যাত্রীবাহী বাসে চড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে সমাবেশে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঠিক মতো ভাড়া দেয় না। আবার ভাড়া চাইতে গেলে গাড়ির গ্লাস ভাঙচুরও করে তারা। এমন অভিযোগে সমাবেশকে ঘিরে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে বাস চলাচল বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বাংলাভিশনকে এই কথা বলেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, মালিকরা নিরাপত্তা না পাওয়ার কারণে গাড়ি বন্ধ রেখেছে। একটা মারামারি হলে, সংঘর্ষ হলে দুই কোটি টাকার একটা সম্পত্তি নষ্ট হলে এর দায় কে নিবে? এটা সবখানে বন্ধ হবে। কেউ চালাবে না। কারণ- সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো সময় একটা সংঘর্ষ হতে পারে। এতে গাড়ি ভষ্মিভূত হতে পারে। ফলে ১০ হাজার টাকার ভাড়ার জন্য দুই কোটি টাকার রিস্ক কেউ নিবে না।
তিনি বলেন, বাস মালিকরা আমাদেরকে জানায় যে, ভাই আমরা বাস চালাবো না। তখন তো বাস মালিকদের কিছু বলার থাকে না। তারা আমাদেরকে শুধু জানায়- তারা বাস বন্ধ রাখবে। এছাড়া আর কিছু নয়। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।
বিএনপির কর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষেরও তো ভোগান্তি হচ্ছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখানে সরকারের গাড়ি বিআরটিসির বাস চলতেছে। যদি কারও যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, ট্রেনে যাচ্ছে-বিমানে যাচ্ছে। সবকিছুই চলতেছে। শুধু বাস বন্ধ আছে। তারপরও লেগুনা আছে, ছোট ছোট গাড়িগুলো চলতেছে। এটা কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতেছে বলে আমার মনে হয় না। নসিমন-করিমন-বটবডি, সবই চলতেছে, কোনো সমস্যা হচ্ছে না সাধারণ মানুষের।
বাস বন্ধের কারণে মানুষের খুব যে কষ্ট হচ্ছে তা না। কষ্ট হচ্ছে আমার গাড়ির মালিকদের। গাড়ির পয়সা দিয়ে যারা খায়-পরে, মালিক-শ্রমিক, এদের কষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রাজনৈতিক কোনো স্বার্থ কাজ করছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখানে আমার রাজনৈতিক কোনো স্বার্থ নাই। তাছাড়া সরকার আমাকে বললেই যে আমি শুনবো, এমন কোনো কথা নাই। আমি আমার সম্পত্তি রক্ষার জন্য আমার স্টাফদের বলে দিয়েছি তোমরা একটা দুইটা দিন বন্ধ রাখো। অন্যান্য মালিকরা তাই করেছে। আমি কাউকে কিছু বলি নাই। আমি শুধু বলছি কারো যদি ইচ্ছা হয় চালাও, আমি চালাবো না।
তিনি বলেন, গাড়ির কিছু হলে দায় কে নিবে? অনেক জায়গায় ওরা (বিএনপি) নিজেরা নিজেরা মারামারি করে ভাড়া দেয় না। গ্লাস ভেঙে দেয়। এটা আজকে থেকে না, বহু আগে থেকে হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, এমনটা আওয়ামী লীগের সঙ্গেও হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপির সময় তখন শিমুল বিশ্বাস দিনাজপুরের একটা শ্রমিককে গ্রেফতার করিয়ে সারা দেশে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকায় তখন আওয়ামী লীগের একটা প্রোগ্রাম হচ্ছিল।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: