• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মৃত বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান

বাচ্চুকে কবর থেকে তুলে নিয়ে যান, পুলিশকে তার স্ত্রী

প্রকাশিত: ১৩:০০, ১০ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৬:০২, ১০ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
বাচ্চুকে কবর থেকে তুলে নিয়ে যান, পুলিশকে তার স্ত্রী

ফরিদপুর শহরের সাবেক পৌর কমিশনার ও শহর বিএনপির সভাপতি বাচ্চু মিয়া আলী। ২০১০ সালের ২৮ আগস্ট মারা যান তিনি। তাঁকে মিয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

ফরিদপুরে গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এক যুগ আগে মারা যাওয়া বিএনপির এই নেতাকে গ্রেফতার করতে মঙ্গলবার রাতে শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লা এলাকার মিয়াপাড়া সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় ওই এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে বাচ্চু মিয়া আলীর স্ত্রী মৌসুমী আলী থানায় গিয়ে এক যুগ আগে মারা যাওয়া স্বামীর মৃত্যুসনদ জমা দেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাচ্চু মিয়া আলীর স্ত্রী মৌসুমী আলী জানান, পুলিশের দুই সদস্য বাড়ির সামনে এসে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। দরজা খুলুন, বাচ্চু মিয়া আলীকে ডাকেন। আমরা ওনাকে নিতে এসেছি।’ 

আরও পড়ুন: 

তখন মৌসুমী আলী বলেন, ‘তাঁকে (বাচ্চু মিয়া) নিতে হলে কবরস্থান থেকে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বেঁচে নেই।’ তখন পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘দরজা না খুললে কীভাবে খুলতে হয় তা আমরা জানি।’ 

তখন মৌসুমী আলী বলেন, ‘রাতে দরজা খোলা যাবে না। আপনারা অপেক্ষা করেন, সকালে দরজা খুলব।’

মৌসুমী আলী বলেন, বুধবার সকালে তিনি থানায় গিয়ে এক যুগ আগে মারা যাওয়া বাচ্চু মিয়া আলীর মৃত্যুসনদ জমা দেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, পুলিশ ওয়ারেন্ট তামিল করতে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। তিনি দাবি করেন, বাচ্চু মিয়া নয়, তাঁর ছেলের নামে ওয়ারেন্ট ছিল।

বাচ্চু মিয়ার ছেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক জানালে ওসি বলেন, ‘তবে আদালত থেকে পাওয়া ওয়ারেন্টেও তথ্যগত ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা ওয়ারেন্টটি যাচাই করে দেখছি।’ 

মৃত্যুকালে প্রয়াত বিএনপির এই নেতা স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। গতকাল রাতে ওই বাড়িতে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী আলী, ছেলে মাহির আরাফাত আলী (১৬) ও মেয়ে আন্তরা মালিয়া (২৫) ছিলেন। তাঁরা কেউই রাজনীতি করেন না। মাহির একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর আন্তরা স্থানীয় একটি কান্ডাগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

আরও পড়ুন: 

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2