আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কথা বললেন কাদের সিদ্দিকী (ভিডিও)

বাংলাভিশনের প্রতিবেদক মুহিব্বুল্লাহ মুহিবের সঙ্গে কথা বলছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে গিয়ে দেখা করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্ধিকী। এর পর থেকে তাকে নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে রাজনৈতিক মহলে।
কেন গিয়েছেন শেখ হাসিনার কাছে সে বিষয়ে বাংলাভিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন কাদের সিদ্ধিকী। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারকে নিজে থেকেই ডেকেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি গণভবনে গিয়েছেন। এই সময় রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান কাদের সিদ্দিকী।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে আসেন কাদের সিদ্দিকী। এসময় আলাপকালে তাকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনের বিষয়ে প্রশ্ন করেন বাংলাভিশনের প্রতিবেদক। জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে শেখ হাসিনাই ভালো বলবেন। উনাকে জিজ্ঞেস করুন।’
আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তার নিজের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলেও তিনি, উনাকে জিজ্ঞেস করেন। আমার সিদ্ধান্ত উনার কাছেই শুনতে পাবেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, উনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ইচ্ছা হয়েছিল আমার সঙ্গে কথা বলবেন। তাই আমাকে ডেকেছিলেন। পারিবারিকভাবে আমরা এসেছিলাম তাকে সম্মান জানিয়ে। আর এটা আপনারা জানেন আমার কোনো বড় বোন ছিল না। আমার তিনটা ছোট বোন। উনাকে আমি বড়বোন বলে জানি। এবং আমার কাছে বড়বোন মায়ের মতো। সেজন্য তার কথা ফেলি না।’
আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন,‘এটা আপনি উনাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। এটা উনি বলতে পারবেন।’
এবার আওয়ামী লীগে কেমন নেতৃত্ব আশা করছেন জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এবার আগের মতোই থাকবে। পরিবর্তন হলে নির্বাচনের পরে হবে।’
২০১৮ সালের নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা নির্বাচনের পরেই সংসদে যাওয়ার কারণে আমার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাথে সাথেই ওইটা ত্যাগ করেছি। আমরা ওর সঙ্গে নেই।’
নতুন কোনো জোটে অংশ নিবেন কিনা জানতে চাওয়া হয় কাদের সিদ্দিকীকে। তিনি বলেন, হতেই পারে। রাজনীতিরতো শেষ কথা নাই, দেখা যাক। অপেক্ষা করুন।
প্রশ্ন ছিলো, ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সম্ভাবনা কি আছে আপনার?
জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ওই নির্বাচনটি ভালো হয়নি। ওতে বঙ্গবন্ধুর ক্ষতি হয়েছে এবং নেত্রীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উনার যে আত্মসম্মান থাকার কথা সারা দেশে ও পৃথিবীতে ২০১৮ সালের নির্বাচন তাকে রাজনৈতিকভাবে ছোট করেছে। প্রশাসনিকভাবে হয়তো শক্তিশালী হয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে মানুষের কাছে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
এসব কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি আমাকে কতটুকু চিনেন আমি জানি না। আমি কোথাও সত্য কথা বলতে, আমার মুখ থেকে যেটা বেরিয়ে আসে সেটা বলতে কখনো আমার মুখে বাধে না। আমি মানুষকে খারাপ কথা বলতে পারি না, মানুষ লজ্জিত হোক-কষ্ট পাক সে ধরনের কথা বলতে পারি না। কিন্তু সত্য আমি লুকিয়ে রাখতে পারি না।’
দুই ভাই-বোনের বৈঠক শেষ পর্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ ছিল কিনা জানতে চাইলে বর্ষিয়ান এই নেতা বলেন, ‘ভিষন ভালো, ভিষন ভালো ছিলো। উনি ভিষন আন্তরিক। আমার বাচ্চাদের উনি মায়ের মতো আদর করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী কি দিয়ে আপ্যায়ণ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একদম সুদামুখে। উনি ওখানে সাংঘাতিক কঠিনভাবে থাকেন। মাথাটা ঘুরাতোও উনার অসুবিধা।’
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: