ঝালকাঠিতে পুলিশ ও বিএনপির ১৪ জন আহত, আটক ১৬

ঝালকাঠিতে সংর্ঘসে পুলিশ ও বিএনপির ১৪ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের দাবি বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় ঝালকাঠি সদর থানার ওসি অপারেশনসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে । বিএপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা বিষয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পুলিশের ওপরে হামলার অভিযোগে এখন পর্যন্ত জেলা যুবদলেল সদস্য সচিবসহ ১৬ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল সারে ১১ টার দিকে শহরের আমতলা সড়কে বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচী শেষে এ ঘটনা ঘটে। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার পুলিশ আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ঝালকাঠি সদর থানার ওসি অপারেশন ফিরোজ কামাল, এসআই মো. শফিকুর রহমান, এসআই খোকন হাওলাদার, এসআই নজরুল ইসলাম এএসআই শিপন ও কনস্টবল মতিয়ার রহমান। এরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগেবিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১৬ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পদযাত্রার কর্মসূচী শেষে নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপরে ইট-পাটকেল নিক্ষেভ করে। এতে  ঝালকাঠি সদর থনার ওসি অপারেশন ফিরোজ কামালসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। 
তবে বিএনপির নেত-কর্মীদের দাবী তাদের কর্মসূচীতে শেষে দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা অফিসে হামলা চালায়। এতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন সহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন,‘ ছাত্রলীগ-যুবলীগ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপরে হামলা করেছে। আহত নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে চিকিৎসা নিতে পারছে না। পুলিশের ওপর হামলার  মিথ্যা অভিযোগ আমাদের ১৬ নেতা-কর্মীকে এখন পর্যন্ত ১৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

তার আগে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের আমতলা সড়কে জেলা বিএনপির কর্যালয়ের সামন থেকে পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি কিছুদূর গেলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। 
পরে পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে পদযাত্রাটি কালিবাড়ি সড়ক, পোষ্ট অফিস সড়ক ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এতে পেস্নকার্ড ও ব্যানার নিয়ে শত শত দলীয় নেতাকর্মী অংশ নেয়। 
এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামান।  
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উদ্ধগতির কারনে দেশের মানুষ ভালো নেই। আর্থনীতিবীদরা বলেছেন আগামীতে দেশে ভয়াভয় অর্থনৈকিত সংকট দেখা দেবে। দেশের মানুষ তত্তবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন না দিলে কঠোর আন্দলন করে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী পদযাত্রার ডাক দেয় বিএনপি।