বিএনপির হাশেম যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে!

বর্তমান সরকারে অধীনে দলীয়ভাবে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তাই গাজীপুরসহ পাঁচ সিটির কোনোটাতেই প্রার্থী দেয়নি দলটি। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়া ২৯জনকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিস্কার করেছে বিএনপি।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হাশেম। টঙ্গীর মিলগেট এলাকার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত না মানায় ২৯ জনের একজন তিনি।
বহিস্কারের পর হঠাৎ আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন হাশেম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক বক্তব্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়– ‘জনসভা করে আমার নেতাকর্মীদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। তার ফলশ্রুতিতে আজকের গণমিছিলে আমাদের সকল লোক যোগদান করেছে। আজমত উল্লা খানের পক্ষে যোগদান করেছি। নৌকার পক্ষে সমর্থন করেছি। সকলকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপি একসঙ্গে ছিল। তখন আহ্সান উল্লাহ্ মাস্টার আমাকে আদর করতেন। তাঁকে আমি সমর্থন করতাম। দল এক জিনিস, ব্যক্তিগত সম্পর্ক আরেক জিনিস। কেউ আওয়ামী লীগ করবে, কেউ বিএনপি করে। এর অর্থ এটা নয়, আওয়ামী লীগ-বিএনপি কারও সঙ্গে শত্রুতা করব। বিশেষ করে আমার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে যাঁরা বিএনপি করছেন, তাঁদের কাছে আহ্বান করব, আপনারা যদি আমাকে পেতে চান, তাহলে আগে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দেওয়ার পর আমাকে ভোট দেবেন।
হাশেম আরো বলেন, কোনো কারণে যদি নৌকায় ভোট কম পায়, তাহলে আমার সমস্যা হবে। এর পর আপনাদের সমস্যা হবে। আমাদের যেহেতু বিএনপির প্রার্থী নেই, তাহলে অবশ্যই নৌকায় ভোট দেবেন। বিএনপির উপযুক্ত প্রার্থী না থাকাতে আমরা নৌকায় ভোট দিব।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ভোটের বৈতরণী পার হতেই অনেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দিচ্ছেন। ভোট শেষ হলে এরা আবারো বিএনপিতে যাবে। মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ার বদলে টঙ্গীর ১৫টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থী চলছেন ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচাও’ নীতিতে। সব দল ও মতাদর্শের ভোট টানতে অনেকে প্রকাশ্যে মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না।
মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমা হোসেন-এর ভাষ্য, শুধু আমি কেন, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক বড় আওয়ামী লীগ নেতাও তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন। আমি কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। আমাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিভি/এনএম
মন্তব্য করুন: