ইফতারের পরই ধূমপান করছেন, রোজা কবুল হচ্ছে তো?

পবিত্র রমজানে হরহামেশা যে দৃশ্য দেখা যায় তা হলো- ইফতারির পর নামাজ শেষে দৌড়ে গিয়ে সিগারেট ধরানো বা ধূমপান করা। কিন্তু এই পবিত্র মাসেও একটা ইবাদত করার পর হারাম নেশায় মগ্ন থাকেন তাহলে আপনার রোজা কবুলের সম্ভাবনা কতটা সেটা একবার ভেবে দেখা দরকার।
মদ মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে তোলে। তাই মদ খাওয়া হারাম। বিড়ি-সিগারেট যেহেতু ব্যক্তিকে মাতাল করে না, আর তা মাতাল হওয়ার জন্যও খাওয়া হয় না, এতে এমন কোনো পরিমাণ বস্তুও নেই, যা সেবন করলে ব্যক্তি মাতাল হয়ে পড়বে; তাই সিগারেট খাওয়া হারাম নয়। বরং তা মাকরুহ এবং নাজায়েজ। দুর্গন্ধ ও ক্ষতিকর হওয়ার কারণে এটা হারামের পর্যায়ে পড়ে।
ধূমপান করা নাজায়েজ। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনেশুনে নিজের জানমালের ক্ষতি করা গুনাহ। অধিকন্তু ধূমপায়ীর মুখের দুর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়, যা আলাদা একটি গুনাহ। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
কিন্তু রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো সংযম এবং হারাম পরিহার করা। সেই উদ্দেশ্য ঠিক থাকে না। সুতরাং, এটা পরিহার করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: দুই শর্তে রোজা রেখেও স্বামী-স্ত্রী চুমু খাওয়া যাবে
আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্য সিয়াম পালন করছেন। হারাম কাজের মধ্যে নিজেকে জড়িত করে আপনি যতই সামনে দৌড়ান না কেন, আপনি সামনে যেতে পারবেন না। আপনি অগ্রসর হতে পারবেন না, হারাম কাজ আপনাকে পেছনে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: যে রুমে আল কুরআন থাকে, সেখানে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কিনা জেনে নিন
যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, মিথ্যাচার এবং যে গর্হিত বিষয় আছে, সেগুলো পরিহার করতে পারল না, তার সিয়াম শুধু লোক দেখানো হবে। এই সিয়ামের মাধ্যমে আপনি আল্লাহর মূল উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন না।
তাছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দিনভর রোজা রেখে ইফতার শেষ করেই ধূমপান আরও বেশি প্রভাব ফেলে শরীরে। ইফতার শেষে ধূমপানের ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সহীহ আকিদা অনুযায়ী ইবাদত পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন...
আরও পড়ুন: কোন কোন কাজের কারণে রোজা ভেঙে যায়?
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: