• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

প্রস্তুত হয়ে গেছে দাজ্জালের ফিতনার এক বড় অ*স্ত্র (ভিডিও)

ইমরান মাহমুদ

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ৩০ জুন ২০২৪

ফন্ট সাইজ

যেখানে ইচ্ছা বৃষ্টি হবে আর যেখানে ইচ্ছা বৃষ্টি বন্ধ করা যাবে। ১৪০০ বছর আগে যখন রাসুল (স) এই কথা বলেছিলেন তখন সাহাবাদের কাছে বিষয়টি অলৌকিক মনে হলেও, বর্তমানে এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। অর্থাৎ, বলাই যায় যে দাজ্জালের অন্যতম এক অস্ত্র ইতমধ্যেই প্রস্তুত। 

সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ফেতনা হবে দাজ্জালের ফেতনা। এই ফেতনা এতটাই ভয়াবহ হবে যে ঈমান খুব সহজেই নড়ে যাবে। মানুষের ঈমান নষ্ট করার জন্য দাজ্জালের হাতে বেশ কিছু অস্ত্র দিবেন আল্লাহ। যার মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে অন্যতম একটি। রাসুল (স) বলেন, “দাজ্জাল আসার আগে আল্লাহ বৃষ্টির ৩ ভাগের ১ ভাগ বন্ধ করে দিবেন, পরের পছর বৃষ্টির ৩ ভাগের ২ ভাগ বন্ধ করে দিবেন আর তৃতীয় বছর কোন বৃষ্টিই হবে না। তখনই আসবে দাজ্জাল” [সুনান ইবনে মাজাহ]

অর্থাৎ, দাজ্জাল বৃথিবীতে যখন আসবে তখন মানুষ প্রচন্ড খরার মধ্য দিয়ে যাবে। বৃষ্টির অভাবে ফসল ফলা বন্ধ হয়ে যাবে আর দেখা দিবে প্রচন্ড দুর্ভিক্ষ। খাবারের জন্য আর পানির জন্য মানুষ হাহাকার করতে থাকবে। পরিবারের মুখে একটুখানি খাবার তুলে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে মানুষ। এমন সময় দাজ্জাল এসে মানুষকে বৃষ্টি দিতে চাইবে, খাবার দিতে চাইবে। শর্ত ষুধু একটাই, তাকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মেনে নিতে হবে। যারা মেনে নিবে, তাদের জমির উপর দাজ্জাল বৃষ্টি দিবে আর যারা মেনে নিবে না, তাদের জমির উপর থেকে বৃষ্টি কেড়ে নিবে।

এবার তাকাই বর্তমান সময়ে। এখন ক্লাউড সিডিং এর মাধ্যমে যে কোন জায়গায় ইচ্ছেমত বৃষ্টিপাত ঘটানো যায়। সম্প্রতি আরব আমিরাত ও সৌদি আরবও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মরুর বুকে বৃষ্টি ঝড়িয়েছে। আজ থেকে ২০ বছর আগেও হয়ত তা কল্পনা করা যেত না। কিন্তু আপনি কি জানেন, ক্লাউড সিডিং যে শুধুমাত্র বৃষ্টি ঝড়ায় তা না, এই প্রযুক্তি বৃষ্টি বন্ধও রাখতে পারে। ফ্রান্সে এমন এক কম্পানি আছে যারা টাকার বিনিময়ে যে কোন অঞ্চলে, যে কোন দিন বৃষ্টি বন্ধ করে দিতে পারে।

পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে ক্লাউড সিডিং সম্পর্কে কিছুটা প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। আকাশে যে মেঘ থাকে সেই মেঘ যখন প্রাকৃতিকভাবে ঘণিভূত হয়, তখন বৃষ্টিপাত হয়। ক্লাউড সিডিং এর কাজ হলো মেঘের এই ঘণিভূত হওয়ার ঘটনাটা প্রাকৃতিক নিয়মের চেয়েও দ্রুত ঘটানো। বিমান বা ড্রোনের মাধ্যমে কিছু কেমিকেল ছিটিয়ে দেয়া হয় মেঘের উপর। ফলে মেঘ ঘণিভূত হয় বৃষ্টি ঝড়ায়। 

এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট দিনে, বৃষ্টিপাত বন্ধও করা যায়। যা উদাহরণ হচ্ছে ২০০৮ সালে চায়নার বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এই দিন যেন বৃষ্টি না হয়, তাই চায়না ক্লাউড সিডিং এর সাহায্য নেয়। তবে এখানে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, ক্লাউড সিডিং নতুন কোন মেঘ তৈরি করতে পারে না। আকাশে যে মেঘ আছে, তাকে শুধু ঘণীভূত করতে পারে। অর্থাৎ, প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক নাকেন, মহান আল্লাহ যেমন মানুষের কল্যাণের জন্য মেঘ সৃষ্টি করেন, ক্লাউড সিডিং তা পারে না।

তাই বলাই যায় যে এই ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তিই হয়ত ১৪০০ বছর আগে মহানবী (স) এর বলা দাজ্জালের ফিতনা সৃষ্টির সেই অস্ত্র। এই অস্ত্র হোক বা অন্য যে কোন অস্ত্র, দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য রাসুল (স) উপায়ও বলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি কেউ সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মন দিয়ে শিখে তবে সে দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা পাবে” [সহীহ মুসলিম]

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: