শিশুর শিক্ষা-দীক্ষার গুরুত্ব নিয়ে যা বলছে ইসলাম

ফাইল ছবি
সন্তানকে আদর্শ ও নেক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে উত্তম শিক্ষা-দীক্ষার বিকল্প নেই। অন্যদিকে প্রতিটি শিশুই উত্তম প্রকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এরপর শিক্ষা-দীক্ষার ওপর ভিত্তি করেই তার জীবন গড়ে উঠে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘প্রত্যেক নবজাতকই ফিতরাত বা স্বাভাবিক উত্তম প্রকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তারপর তার বাবা-মা তাকে ইয়াহুদি, নাসারা বা অগ্নিপূজক হিসেবে গড়ে তোলে।’ (সহিহ বুখারি: ২৩)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায় সন্তানের ভালো বা মন্দ মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের শিক্ষা-দীক্ষার বড় প্রভাব থাকে।
প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিৎ শিশুকে শুরু থেকে উত্তম মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা। নবি (সা.) শিশুকাল থেকেই সন্তানদের উত্তম শিক্ষা ও দীনি আমলে উদ্বুদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমর ইবনে শুয়াইব (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমরা নিজের সন্তানদের সাত বছর বয়স থেকে নামাজের নির্দেশ দাও। দশ বছর বয়সে নামাজ না পড়লে তাদের প্রহার করো। (আবু দাউদ: ৪৯৫)
সন্তানকে উত্তম মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে প্রত্যেক বাবা-মায়ের ইহজীবনে যেমন চোখের শীতলতা ও সওয়াবের কারণ হয়, মৃত্যুর পরও নেক সন্তানের কারণে মানুষের সওয়াব জারি থাকে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আদম সন্তান যখন মারা যায়, তখন তার তিন প্রকার আমল ছাড়া অন্য সব আমলের ধারা বন্ধ হয়ে যায়; ১. সদকায়ে জারিয়া (ফায়েদা অব্যাহত থাকে এ রকম সদকা যেমন মসজিদ নির্মাণ করা, কূপ খনন করে দেওয়া ইত্যাদি) ২. ইলম বা জ্ঞান যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হতে থাকে ৩. সুসন্তান যে তার জন্য নেক দোয়া করতে থাকে। (সহিহ মুসলিম)
রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, কোনো কোনো ব্যক্তি জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ করে বলবে আমার এত মর্যাদার অধিকারী কীভাবে হলাম? তাকে বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের দোয়া ও ইস্তেগফারের কারণে তুমি এত মর্যাদা পেয়েছ। (সুনানে ইবনে মাজা, মুসনাদে আহমদ)
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: