পবিত্র রোজায় নিয়ত করা উত্তম যে সময়...

পবিত্র রমজানে কোনো গ্রহণযোগ্য কারণে রোজা না রাখতে পারলে পরে তা কাজা করা ফরজ। রোজা রাখার মানত করলে তা পালন করা ওয়াজিব। এ ছাড়া যদি কেউ নফল রোজা রেখে ভেঙে ফেলে, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যেভাবেই হোক, তাহলে সেটি পুনরায় রাখা ওয়াজিব। ফরজ ও ওয়াজিব রোজা ছাড়া বাকি সব রোজাকে নফল রোজা বলা হয়।
রমজানের ফরজ রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাতে করা উত্তম। যদি কেউ রাতে নিয়ত না করে তাহলে দিনের বেলা মধ্য আকাশ থেকে সূর্য পশ্চিমে ঢলার দেড় ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত নিয়ত করা যাবে। শর্ত হলো, সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়তের পূর্ব পর্যন্ত রোজার পরিপন্থী কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
‘নিয়ত’ বলা হয় মূলত অন্তরের ইচ্ছাকে। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। অন্তরে কেউ যদি ইচ্ছা করে যে ‘আগামীকাল আমি রোজা রাখবো’ এটাই নিয়ত গণ্য হবে। তবে নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা উত্তম। যারা আরবি জানে না তারা বাংলায়ই মুখে উচ্চারণ করে রোজার নিয়ত করতে পারেন। অন্তরে রোজার ইচ্ছার সাথে সাথে মুখে এভাবে বলবেন, ‘আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করলাম’।
রোজা রাখার জন্য সাহরি খাওয়া জরুরি নয়। কেউ যদি রাতে রোজা রাখার নিয়ত করে ঘুমায়, সকালে সুবহে সাদিকের পর ঘুম থেকে জাগে, তাহলে তার ওই রোজা শুদ্ধ হবে। রমজানের রোজা ও নফল রোজার ক্ষেত্রে রাতে নিয়ত করে না ঘুমালেও সুবহে সাদিকের পর ঘুম থেকে উঠে নিয়ত করলে রোজা শুদ্ধ হবে।
কাজা ও কাফফারার রোজার নিয়ত রাতেই করতে হয়। সুবহে সাদিকের পর রমজান বা নফল রোজার কাজা কাফফারার রোজার নিয়ত করা যায় না। এ ছাড়া কেউ যদি অনির্দিষ্টভাবে যে কোনো দিন রোজা রাখার মানত করে, তাহলে ওই মানতের রোজার নিয়তও রাতে অর্থাৎ আগের দিন সূর্যাস্তের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় করা জরুরি।
কারো যদি একাধিক রমজানের রোজা কাজা হয়ে যায়, তাহলে কাজা আদায় করার সময় কোন রমজানের রোজার কাজা আদায় করছে এটা নির্দিষ্ট করে নিয়ত করা জরুরি। তবে যদি কাজা রোজার সংখ্যা অনেক বেশি হয় এবং তা নির্দিষ্ট করা কঠিন হয় তাহলে ‘জীবনের সর্বপ্রথম কাজা রোজা রাখলাম’ এভাবেও নিয়ত করা যাবে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: