• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: ২০:১৪, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ

ইসলামে হজের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। মহান আল্লাহ হজ ফরজ করেছেন সামর্থ্যবানদের ওপর। মহান আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)

হজের অন্যতম অনুষঙ্গ ইহরাম। ইহরাম অবস্থায় কিছু বিষয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:

১. পুরুষের জন্য শরীরের কোনো অঙ্গের আকৃতি বা গঠন অনুযায়ী তৈরিকৃত বা সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ। যেমন : পাঞ্জাবি, জোব্বা, শার্ট, সেলোয়ার, প্যান্ট, গেঞ্জি, কোর্ট, সোয়েটার, জাঙিয়া।

মাসয়ালা: ইহরামের কাপড় ছিঁড়ে গেলে তা সেলাই করে কিংবা জোড়া দিয়ে পরিধান করা যাবে। তবে ইহরামের কাপড় এ ধরনের সেলাইমুক্ত হওয়াই ভালো। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৮১, শরহু লুবাবিল মানাসিক ৯৮)

মাসয়ালা: ইহরাম অবস্থায় সেলাইযুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করা ও বেল্ট বাঁধা নিষিদ্ধ নয়।

২. পুরুষের জন্য মাথা ও চেহারা ঢাকা নিষিদ্ধ। মহিলাদের জন্য শুধু চেহারায় কাপড় স্পর্শ করানো নিষেধ। তাই তারা পরপুরুষের সামনে চেহারায় কাপড় লেগে না থাকে এভাবে পর্দা করবে।

৩. পুরুষের জন্য পায়ের উপরের অংশের উঁচু হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরিধান করা নিষেধ। এমন জুতা বা স্যান্ডেল করতে হবে যা পরলে ওই উঁচু অংশ খোলা থাকে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৯০)

৪. ইহরামের কাপড় বা শরীরে আতর বা সুগন্ধি লাগানো নিষেধ। সুগন্ধিযুক্ত তেল যয়তূন ও তিলের তেলও লাগানো যাবে না। সুগন্ধি সাবান, পাউডার, স্নো, ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি পৃথকভাবে সুগন্ধি জর্দা খাওয়াও নিষিদ্ধ। পানের সাথে খাওয়া মাকরুহ। ইচ্ছাকৃতভাবে ফল-ফুলের ঘ্রাণ নেওয়া মাকরুহ। (মানাসিক ১২১; আহকামে হজ ৩৪)

৫. শরীরের কোনো স্থানের চুল, পশম বা নখ কাটা বা উপড়ানো নিষিদ্ধ।

৬. ইহরাম অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করা বা স্ত্রীর সামনে এ সংক্রান্ত কোনো কথা বা কাজ করা নিষিদ্ধ।

৭. কোনো বন্য পশু শিকার করা বা কোনো শিকারিকে সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ।

৮. ঝগড়া-বিবাদ সাধারণ সময়েও নিষিদ্ধ। ইহরাম অবস্থায় এর গুনাহ আরও বেশি।

৯. কাপড় বা শরীরের উকুন মারা নিষিদ্ধ। (আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৮৬-৪৯০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৪, মানাসিক ১১৭-১২০)

মাসয়ালা: ইহরাম অবস্থায় যে কাজগুলো নিষিদ্ধ তাতে লিপ্ত হওয়া গুনাহ। এর কারণে হজ কিছুটা অসম্পূর্ণ হয়ে যায় আর কিছু নিষেধাজ্ঞা এমন রয়েছে যেগুলো করলে ‘দম’ ওয়াজিব হয়। আর আরাফায় অবস্থানের পূর্বে স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলে হজই নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে গরু বা উট জবেহ করা ছাড়া পরবর্তী বছর কাযা করা জরুরি। (আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৫৮-৫৫৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪৪, মানাসিক ১১৭)

মাসয়ালা: ইহরাম অবস্থায় মাথা ও মুখ ব্যতীত পূর্ণ শরীর চাদর ইত্যাদি দিয়ে আবৃত করা যাবে। কান, ঘাড়, পা ঢাকা যাবে। মাথা ও গাল বালিশে রেখে শোয়া যাবে। তবে পুরো মুখ বালিশের উপর রেখে ঢেকে শোয়া যাবে না। (মানাসিক ১২৩-১২৪, গুনয়াতুননাসেক ৯৩)

মাসয়ালা: ইহরাম অবস্থায় পান খাওয়া নিষিদ্ধ নয়। তবে পানে সুগন্ধিযুক্ত মসলা বা জর্দা খাওয়া নিষিদ্ধ।

মাসয়ালা: ইহরাম অবস্থায় পানিতে ডুব দেওয়া যাবে। (গুনয়াতুনন্নাসেক ৯১)

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2