নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ দাম বাড়ালে কি শাস্তি হতে পারে জানালেন রাসূল

দেশে বেশ কিছুদিন ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধভাবে মজুত বাড়িয়ে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিত্যপ্রয়োজনীয় মজুদ রয়েছে জানানো হলেও কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। যেকারণ সাধারণ মানুষের রীতিমত পণ্য কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। কৃত্রিম এই সঙ্কট সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে ইসলামে অত্যন্ত কঠোর ভাষা হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। সংকট তৈরি করে ক্রেতাদের সংকটে ফেলেন অধিক মুনাফার প্রত্যাশায় পণ্য মজুত করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, হারাম।
এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, আল্লাহ তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দ্বারা শাস্তি দেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২২৩৮)
প্রিয়নবী (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ৪০ দিনের খাবার মজুত রাখে, সে আল্লাহ-প্রদত্ত নিরাপত্তা থেকে বেরিয়ে যায়।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ২০৩৯৬)
জনগণকে কষ্ট দিয়ে বেশি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে কেউ যদি ‘বিত্তশালী’ হয়েও কোনো লাভ নেই। কারণ তার ওই অবৈধ সম্পদই তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। উপরন্তু এতে উপার্জিত অর্থ হারাম হওয়ার কারণে নামাজ, রোজা, হজ, দান-সদকা কিছুই আল্লাহ’র দরবারে কবুল হবে না।
অন্যদিকে, মজুতদারি না করে স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা করলে পরিণত হবে ইবাদতে। তার উপার্জন আল্লাহ তা’আলা বরকতময় করে দেবেন। তাকে অপ্রত্যাশিত রিজিক প্রদান করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খাঁটি ব্যবসায়ী রিজিকপ্রাপ্ত হয়, আর পণ্য মজুতদকারী অভিশপ্ত হয়।’ (ইবনে মাজাহ : ২/৭২৮)।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: