ধর্মীয় মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত

ফাইল ছবি
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রাজধানীসহ সারাদেশে পালন হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। শুক্রবার (১৮ মার্চ) এশার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ছিলো মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত। এতে দেশের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। খতিবরা পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন।
এশার নামাজের পর মোনাজাতে মুসলমানরা অতীতের গুনাহের কারণে আল্লাহ’র কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এছাড়া করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।
হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ ‘লাইলাতুল বরাত’ বা শবে বরাত হিসেবে পালন করা হয়। বিশেষ করে দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সারা রাত ইবাদত-বন্দেগি করেন।
এই রাতে অনেকেই মৃত স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন। এবছর শুক্রবার (১৮ মার্চ) শবে বরাত হওয়ায় বিকেল থেকে কবরস্থানে স্বজনদের ভিড় বাড়তে থাকে। রাজধানীর আজিমপুর, মোহাম্মদপুর, বনানীসহ বড় বড় কবরস্থানগুলোতে জিয়ারত করতে আসেন মানুষ। তবে সন্ধ্যার পর থেকে ভিড় আরো বাড়ে। রাত যত গভীর হয় কবরস্থানগুলোতে মানুষের ঢল ততো বাড়তে থাকে। স্বজনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ কোরআন তেলাওয়াত ও সুরা পাঠ করছেন, কেউ অঝোরে কাঁদেন। আবার কেউবা দুই হাত তুলে কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শুয়ে প্রিয় মানুষটির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন।
এদিকে পবিত্র শবে বরাতে আতশবাজি ও পটকাবাজি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার আতশবাজি ছিল কম।
এছাড়া শবে বরাত উপলক্ষে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: