মাগফিরাতের আগমনী দিনে শেষ হচ্ছে রহমত

আজ পবিত্র রমজানের ১০ তারিখ। রমজানের প্রথমভাগে রহমত, মধ্যভাগে মাগফিরাত ও শেষভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি বলে ঘোষণা করেছেন মহানবি (সা.)। হজরত সালমান ফারসি বর্ণিত ওই হাদিস অনুযায়ী রহমতের ১০ দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ।
মহানবি (সা.) এ মাসের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, এটি সবুরের মাস। আর সবুরের প্রতিদান জান্নাত। সবুর বা সহিষ্ণুতা মানবজীবনের একটি উন্নত গুণ। সবুরের আভিধানিক অর্থ নিজেকে আবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণে রাখা।
রমজান মাসের মাঝের ১০ দিন যেহেতু মাগফিরাত বা ক্ষমার, সুতরাং এই ১০ দিন আমাদের করণীয় হবে আল্লাহ পাকের ক্ষমাসংক্রান্ত নামগুলো হৃদয়ঙ্গম করে এর ভাব-প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অধিকার করে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করার চেষ্টা করা এবং আজীবন তার ধারক-বাহক হয়ে তা দান করা বা বিতরণ করা তথা আল্লাহর গুণাবলি নিজের মাধ্যমে তার সৃষ্টির কাছে পৌঁছে দেওয়া। আল্লাহ তাআলার ক্ষমাসুলভ নামগুলো হলো আল গফিরু (ক্ষমাশীল), আল গফুরু (ক্ষমাময়), আল গফফারু (সর্বাধিক ক্ষমাকারী), আল আফুউ (মার্জনাকারী), আল খফিদু (বিনয় পছন্দকারী), আশ শাকুরু (কৃতজ্ঞ), আল বাররু (সদাচারী), আল হালিমু (সহিষ্ণু), আস সবুরু (ধৈর্যশীল), আত তাউওয়াবু (তওবা কবুলকারী) ইত্যাদি।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘অপরাধ স্বীকারকারী নিরপরাধ ব্যক্তির মতো।’ (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)। আপনি ক্ষমা লাভ করেছেন বা ক্ষমার অধিকারী হয়েছেন, তা বোঝা যাবে আপনার আচরণে যদি ক্ষমা প্রকাশিত হয়; নয়তো নয়।
অতএব, রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিন— মাগফিরাতের ১০ দিন করণীয় হলো সর্বোচ্চ ক্ষমা প্রদর্শন করা। মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, ‘সকল মানুষ ভুলকারী; আর ভুলকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো যারা তওবাকারী।’ (বায়হাকি)। তিনি আরও বলেন, ‘তুমি ক্ষমা করো; তোমাকেও ক্ষমা করা হবে।’ (তিরমিজি)।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: