• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ঝড়-বৃষ্টি বা দুর্যোগের সময় যে দোয়া পড়বেন

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২৩ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৫:৫১, ২৪ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঝড়-বৃষ্টি বা দুর্যোগের সময় যে দোয়া পড়বেন

ঝড়, বৃষ্টি কিংবা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিটি মুসলমান আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এজন্য রয়েছে বিভিন্ন দোয়া ও দরুদ। কেননা আল্লাহ তায়ালা হলেন মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ আশ্রয়দাতা। আর মহান আল্লাহ বান্দাকে পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে নানা ধরণের বিপদ-মুসিবত দেন। 

এসব বিপদ আপদ থেকে হেফাজতে থাকার কৌশল, দোয়া, জিকির-আসকার বলা হয়েছে পবিত্র কুরআন-হাদিসে। 
পবিত্র কুরআন আল্লাহ বলেন,
وَّ اَنۡزَلۡنَا مِنَ الۡمُعۡصِرٰتِ مَآءً ثَجَّاجًا
لِّنُخۡرِجَ بِهٖ حَبًّا وَّ نَبَاتًا 
وَّ جَنّٰتٍ اَلۡفَافًا

‘আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি, 
যাতে তা দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, 
উদ্ভিদ ও পাতাঘন উদ্যান।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ১৪-১৬)

এটা সত্য যে বৃষ্টি আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। কিন্তু কখনো আবার বৃষ্টি আজাবেও রূপ নিতে পারে। পবিত্র হাদিসে হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতো এবং ঝোড়ো বাতাস বইত—তখন রাসুল (সা.) এর চেহারায় চিন্তার রেখা ফুটে উঠত। এই অবস্থা দেখে তিনি এদিক-সেদিক পায়চারি করতে থাকতেন এবং এ দোয়া পড়তেন—

اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এ বৃষ্টির কল্যাণগুলো কামনা করছি, এই বৃষ্টিতে যেসব কল্যাণ রয়েছে সেগুলো কামনা করছি এবং এই বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর  আর এ বৃষ্টি ও বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত সব রকম অকল্যাণ ও বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণ চাই।’

এরপর যখন বৃষ্টি হতো— তখন মহানবী (সা.) শান্ত হতেন। আয়েশা (রা.) আরও বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি যে লোকজন মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়ে থাকে, আর আপনি তা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন?’ জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, আমি এ ভেবে শঙ্কিত হই যে বৃষ্টি আমার উম্মতের ওপর আজাব হিসেবে পতিত হয় কি না। কেননা আগের উম্মতদের ওপর এ পদ্ধতিতে (বৃষ্টি বর্ষণের আকারে) আজাব পতিত হয়েছিল। ’ (বুখারি, হাদিস : ৩২০৬; মুসলিম, হাদিস : ৮৯৯; তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৪৯)

মেঘের গর্জন শুনলেও রয়েছে আমল: হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং এই আয়াত তিলাওয়াত করতেন-

سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ، والـمَلائِكَةُ مِنْ خِيْفَتِهِ

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রা`দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি।

অর্থ : পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা- তাঁর প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা, সভয়ে। (মুয়াত্তা)

আবার হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেঘের গর্জন শুনলে বা বিদ্যুতের চমক দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই এই দোয়া করতেন- اللَّهُمَّ لا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ ، وَلا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ ، وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ

উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মা লা- তাক্বতুলনা- বিগযাবিকা ওয়া লা-তুলহিকনা- বিআ’জা-বিকা, ওয়া আ’-ফিনা- ক্বাব্লা জা-লিকা।

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! তোমার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেলো না আর তোমার আযাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদেরকে ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে নিও। (তিরমিজি)

হে আল্লাহ তায়ালা আসমানি বালা-মুসিবত আসমানে উঠিয়ে নিন এবং জমিনের বালা-মুসিবত জমিনেই দাফন করিয়ে দিন। আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমিন...

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2